বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন
আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতা স্থানীয় এএম বদরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে ধর্ষিতার পরিবারকে মামলায় বাঁধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর সোমবার সকালে ধর্ষিতার মা থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে দিনভর দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংশা করার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে রাত ১০টায় মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলায় লিটন ও সাইফুলসহ আরও দুই ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে আটক ধর্ষক লিটনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সে স্থানীয় প্রভাকরদী এলাকার তোঁতা মিয়ার ছেলে।
ধর্ষিতা জানান, ১১ এপ্রিল বিকালে বাড়ির বাইরে তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় সাইফুল নামে এক যুবক। পরে তাকে লিটন নামে এক যুবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় প্রভাকরদী এলাকায় জৈনক মোবারকের মালিকাধীন পরিত্যক্ত একটি গরু’র খামারে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এদিকে ধর্ষিতার মা সেতেরা জানান, বিষয়টি মিমাংশা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাশালী মহল মামলা না করতে তাদের নানাভাবে চাপ দেয়। বিভিন্ন অংকের অর্থের প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছিল। এতে তিনি আইনী সহযোগিতা নিতে পারছিলেন না। সোমবার সকালে সবার অগুচরে মেয়েকে নিয়ে থানায় হাজির হন। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ পুলিশ গ্রহণ না করে দিনভর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফের মিমাংশার চেষ্টা চালাতে থাকেন। তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে সেকেন্ড অফিসার এসআই ফায়জুর রহমান ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে ধর্ষক লিটনকে এক ঘন্টা সময় বেঁধে দেন। প্রস্তাব ব্যর্থ হলে রাত ১০টায় মামলাটি গ্রহণ করা হয়। আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংশার চেষ্টা করা হয়েছিল। ব্যর্থ হওয়ার পর রাতে মামলা গ্রহণ করা হয়।
Leave a Reply