নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় সাকিল হোসেন নাঈম (২২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে শনিবার দুপুরে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহত সাকিল হোসেন নাঈম ইসদাইর এলাকার মৃত খলিল মিয়ার পুত্র।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় কথাকাটাকাটির জের ধরে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় গার্মেন্টস শ্রমিক সাকিল হোসেন নাঈম কে।এ সময় আহত হয় নিহত নাঈমের বন্ধু লিমন সহ আরো তিনজন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হৃদয় ও হাবিব নামক দুজনকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানার দক্ষিন সস্তাপুর এলাকার দেলোয়ার মিয়ার ভাড়াটিয়া রজব মিয়ার পুত্র গ্রেফতারকৃত হৃদয় মিয়া(২৫) ও ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার জহির উদ্দিনের পুত্র গ্রেফতারকৃত হাবিব(২৫),ইসদাইর এলাকার জলিল সুপার মার্কেটের করিম মিয়ার পুত্র করিমের পুত্র আলামীন(১৫),ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার আলম চানের পুত্র সাইদ ওরফে সাইফ(২৪),ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার ওয়াক ফিল্ড গার্মেন্টস সংলগ্ন শাহজাহান মিয়ার পুত্র শাহিন(২৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
নিহত সাকিল হোসেন নাঈম তার মাকে নিয়ে ইসদাইর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তিনি স্থানীয় তারা গার্মেন্টস নামক একটি পোষাক কারখানায় কাজ করতেন।
নিহতের মা নাজমা বেগম বলেন, বাড়িতে মোবাইল ফোনে চার্জে রেখে বাইরে যান সাকিল। পরে তিনি স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পান যে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।
নিহত নাঈমের আহত বন্ধু লিমন বলেন, সাকিল ও তাঁর সঙ্গে একই কারখানায় হৃদয় ও হাবিব কাজ করেন। নাঈম রাত সাড়ে ৮টার দিকে হৃদয়ের এক ভাতিজাকে মারধর করেন। এই ঘটনার জেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হৃদয় ও হাবিবসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি(তদন্ত) জানান,হত্যার ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।ঘটনার পরপরই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের কে গ্রেফতার অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply