ডেস্ক নিউজঃ নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বলেন, শোকে বিধ্বস্ত আমি, ঠিক এমন একটা খবরের অপেক্ষায় ছিলাম। মঙ্গলবার সকালে বাবা এসে বললেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে নয়ন বন্ড। এ খবর শুনেই সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছি। কারণ বিচারের জন্য আদালতে দৌড়াতে হলো না। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। ওরা ধরা পড়বে কি পড়বে না খুব শঙ্কায় ছিলাম। বিচার হবে কি হবে না তা নিয়ে ছিল আতঙ্ক। নয়নের নিহতের মধ্য দিয়ে সব শঙ্কা এবং আতঙ্ক দূর হয়েছে।

আলোচিত রিফাত হত্যার এক নম্বর আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের খবরে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা মিন্নি।

আমার সামনেই আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ওরা। আমি চেষ্টা করেছি, রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি। দুনিয়ার কোনো মেয়ের যেন এমন নির্মমতা দেখতে না হয়।’

মিন্নি বলেন, ‘আমি এখন স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আমরা আনন্দিত। আমরা বিচার পেয়েছি। আর যেন কোনো মায়ের কোল এভাবে খালি না হয়, কোনো স্ত্রীকে এভাবে স্বামী হারাতে না হয়।’ বাকি আসামিদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘ছেলেকে তো ফিরে পাব না, তবে ছেলের আত্মা অন্তত একটু হলেও শান্তি পাবে। আমার একমাত্র ছেলেকে আমি যাদের কারণে হারিয়েছি, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রিফাত হত্যার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড নিহত হন। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি দেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা দুলাল শরীফ বাদি হয়ে ২৭ জুন ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।