বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বলেছেন, ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হয় তখন বৃটিশ সরকার নিয়ম করে দিয়েছিল কাশ্মীর একটি স্বাতন্ত্র দেশ, এখানকার জনগণ সর্বদিক থেকে স্বাধীন। এমনকি এখানে কেউ জমিজমা ক্রয়, বহিরাগতরা নাগরিকত্বও নিতে পারবে না। কিন্তু মোদি সরকার ৩৭০ ধারা পরিবর্তন করে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ভারতের সংবিধানের ২-এর ক-খ ধারায় উলেখ আছে, কোন দেশকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নিতে হলে প্রেসিডেন্ট অর্ডিনেন্স জারি করবে, এবং কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিবে। কিন্তু এখানে তা করা হয়নি। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, কাশ্মীর সঙ্কট শুধু কাশ্মীরেরই নয়, এ সঙ্কট বাংলাদেশেরও। এজন্য বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিবাদমুখর হতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানীরা যেভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, অনুরূপভাবে কাশ্মীরীদের অধিকারও মোদি সরকার কেড়ে নিয়েছে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, স্কুল-কলেজ বন্ধ এমনকি ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে।
আজ ০৬-০৮-১৯ রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় মাসিক সভায় সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে মুফতি মাসুম বিল্লাহ উপরোক্ত কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি, নূর হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতবিরোধী নই, ভারতের নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের বিরোধী। মোদির এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বস্তরের জনগণ এবং বুদ্ধিজীবীগণ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মোদির এই নীতি ভারতের গণতন্ত্রকে গলা কাটার শামিল এবং এতে করে ভারতই টুকরো টুকরো হবে। তিনি বলেন, মোদি মুসলমানদের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। কাশ্মীর সাতচলিশের পর থেকে অগ্নিগর্ভ। বারবার রক্ত ঝরছে সাধারণ মানুষের। কাশ্মীরের আপামর জনতার মতামতকে উপেক্ষা করে ভারতের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন সংকট সৃষ্টি করছে। এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে হবে।
Leave a Reply