September 23, 2023, 5:22 pm
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ জেলা কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক হুমায়ূন কবীর। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এক বিউটি পারলালের কর্মীকে যৌন হয়রানী এবং কু-প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীকে যৌন হয়রানীর বিষয়টি জানতে পেরে পারলার কর্মীর স্বামী মিজান ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার দেয়। কিন্তু নেতাদের কাছ থেকে কোন বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকেও কোন প্রতিকার পায়নি এমন অভিযোগ মিজানের। এদিকে কৃষক লীগ নেতা হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে পারলার কর্মীকে কু-প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে কৃষক লীগ নেতা হুমায়ুনের ছোট ছেলে বাপ্পির বিরুদ্ধেও। ইতিপূর্বে বাপ্পি এক গামেন্টর্স কর্মীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে ছিলো। পুত্রের অপকর্মের কথা মানুষ ভুলে যাওয়ার আগে এবার পিতা হুমায়ূনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
যৌন হয়রানীর শিকার পারলার কর্মীর স্বামী মিজান জানান, আমরা কুতুবপুরের চিতাশাল মুসলিম পাড়া এলাকায় অবস্থিত জেলা কৃষক লীগ নেতা হুমায়ূন কবীরের বাড়িতে ভাড়া থাকতান। গত মাসের ১৯ তারিখ হুমায়ূন কবীর আমার স্ত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে কু-প্রস্তবি দেয়। ঘটনাটি আমি কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন,স্থানীয় মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদার এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলেিগর সাধারন সম্পাদক রাসেল মোল্লার কাছে বিচার দিয়েছি। কিন্তু কারো কাছ থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা পাইনি। সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজান-২ জানান, একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে ঘটনা তেমন কিছু নয়। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এব্যাপারে কৃষক লীগ নেতা হুমায়ূন জানান, আমার বাসার নিচে বিউটি পারলার নিয়ে দুই ভাড়াটিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এঘটনার পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম ভাইয়ের সামনে আমি তাদের বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলি। এছাড়া আমি কিছু জানি না। যদি কোন অভিযোগ হয়েও থাকে তা হলে এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
Leave a Reply