বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
আবদুর রহিমঃ অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। থানা কমিটি গঠনকে ঘিরে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠকও করেছেন। যোগাযোগ শুরু করেছেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের সাথেও। অনেকে আবার কর্মীদের ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে আওয়ামী লীগের সদস্য করতেও কাজ শুরু করেছে। থানা আওয়ামী লীগের কমিটিকে ঘিরে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে আসতে অনেক নেতা জেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে লবিং শুরু করেছে বলেও দলের একাধিক সূত্রে জানাগেছে। ইতোমধ্যে সভাপতি পদে সাইফুল্লা বাদল ও সাধারন সম্পাদক পদে শওকত আলীর নাম উঠে এসেছে। তবে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শহিদুল্লাহ’র নামও শোনা যাচ্ছে। সাধারন সম্পাদক হিসেবে গুঞ্জন চলছে শ্রমিক নেতা কাউছার আহমেদ পলাশকে নিয়েও। তবে কমিটিতে সাধারন সম্পাদক হতে একাধিক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে শওকত আলী সাধারন সম্পাদক থাকায় এখন আর তাকে এ পদে চাচ্ছে না নেতাকর্মীরা। কমিটিতে নতুন মুখ এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ তরুন নির্ভর হোক এটা এখন তৃনমূলেরও দাবি। এবারের কমিটিতে যে সমস্ত নেতা সাধারন সম্পাদক হিসেবে নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটন, থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইসহাক, বদিউজ্জামান বদু ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোবারক হোসেন অন্যতম। তবে কমিটি গঠনের বিষয়টি নির্ভর করছে এই আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের উপর।
তবে কর্মীদের মতে, যে সমস্ত নেতা কর্মী বান্ধব এবং ত্যাগী-পরিক্ষীত তাদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেয়া প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, সাবেক সাংসদ কবরী পন্থি দাপুটে বেশ কিছু নেতা নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে অনেকে ভিন্ন পেশার এবং মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও থানা কমিটিতে সাংগঠনিক পদসহ গুরুত্বপূর্ন পদ প্রত্যাশা করে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। তবে বিতর্কীত এবং হাইব্রীড এমন কেউ আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান পাবে না বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাকি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রমতে, দীর্ঘ ১৫ বছর পর নতুন করে গঠন হতে যাচ্ছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ। দলের প্রবীন-নবীন নেতাদের সমন্বয়ে এই কমিটি ঘোষণা হবে। ইতোমধ্যে দলের একাধিক তরুন নেতার নাম উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ন পদে। তবে বর্তমাস সভাপতি সাইফুল্লাহ্ বাদল ও সাধারন সম্পাদক আবারো স্ব স্ব পদে থাকতে চাচ্ছেন বলেও গুঞ্জন চলছে। তবে দলের অনেকে নেতৃত্ব পরিবর্তনেরও দাবি তুলছেন। আর এই সুযোগে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে একাধিক নেতার নাম উঠে এসেছে। কর্মীদের মতে, যারা আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা এবং যারা কর্মী বান্ধব তাদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেয়া প্রয়োজন। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে যারা দলের অস্তিত্ব রক্ষায় জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করেছে তাদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেয়া প্রয়োজন।
অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, শামীম ওসমানের বলয়ের নেতাদের হাতেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হবে। তবে কমিটিকে ঘিরে শামীম ওসমান বিরোধী নতুন একটি বলয় তৎপর হয়েছে বলেও ভিন্ন একটি সূত্র নিশ্চত করেছে। এই বলয় থেকে সভাপতি পদে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল্লাহ ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে শ্রমিক নেতা কউছার আহমেদ পলাশের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে কর্মীদের দাবি, যারা দলের দু:সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছেন তাদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেয়া প্রয়োজন।
কাউন্সিল প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল বলেন, চলতি মাসে কিংবা আগামী মাসে কাউন্সিল হবে। নতুন নেতৃত্ব প্রসঙ্গে এই নেতা আরো বলেন, দলের নেতাকর্মীরা যাদের পছন্দ করেন, যারা দলের দুঃসময়ে দলের জন্য শ্রম দিয়েছে তাদের মূল্যায়ন করবেন।
Leave a Reply