October 4, 2023, 12:17 am
আবদুর রহিম
দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতার আতংকে রয়েছে ডিএনডি এলাকায় বসবাসরত কয়েক লাখ বাসিন্দা। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ডিএনডি এলাকার ভেতরের জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়। পুরো বর্ষা জুড়ে ডিএনডির ভেতরে কোমর,হাটু পানি থাকে। এবারও জলাবদ্ধতার আতংকে রয়েছে ডিএনডিবাসী। ডিএনডির জলাবদ্ধার স্থানীয় সমাধানে কাজ শুরু হলেও এর সুফল পেতে আরো সময় লাগবে। এর ফলে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে। এদিকে দুইদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে নিচু এলাকাগুলো পানি জমতে শুরু করেছে। এরমধ্যে চলাচলের রাস্তাগুলোও পানির নিচে চলে গেছে। এই বৃষ্টির মাত্রা যদি আরো একটু বাড়ে তা হলে ডিএনডির ভেতরে জলাবদ্ধা বেড়ে যাবে এমন দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, আতংকের কিছু নেই, বৃষ্টির কারণে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা বেশী দিন থাকবে না।
তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এলাকার কাজ পরিদর্শনে এনে বলেছিলেন, ডিএনডি এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন শীর্ষক ২য় পর্যায়ের প্রকল্পের কাজটি সঠিক সময় ও দ্রুতার তার সঙ্গে সমাপ্ত হবে। তিনি তখন জানিয়েছিলেন চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে নির্মাণাধীন পাম্পগুলো প্রস্তুত হবে এবং ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাম্পগুলো সচল হবে। ফলে বর্ষা মৌসুমে ডিএনডিতে আর কোনো জলাবদ্ধতা থাকবে না। তিনি বলেন, দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স রয়েছে। আমরা মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দিয়েছি সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সততার সঙ্গে কাজ করলে পুরস্কৃত করা হবে। আর সততার সঙ্গে কাজ না করলে তাকে তিরস্কার করা হবে। শাস্তি পেতে হবে।
এদিকে, ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনে সীমানা নির্ধারণই প্রধান বাধা। উচ্চ আদালত থেকে ২৬ জন অবৈধ স্থাপনার মালিকের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা আদেশের কারণে কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এ ছাড়া আবর্জনা অপসারণে বাধা ও গ্যাস-পানি ও বিদ্যুতের লাইনের জন্য কাজে দেরি হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাসফিকুল আলম ভূঁইয়া গত বছর বলেছিলেন, ডিএনডির (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করতে গিয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি প্রকল্পের ভ‚মি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনায় অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের ২৬ জন উচ্চ আদালতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিবাদী করে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করায় ডিএনডির ভেতরে বসবাসকারী ২২ লাখ মানুষ এখন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবুও আমরা এ সব চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছি। নির্দিষ্ট সময়ের এক বছর আগে আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে ডিএনডিতে জলাবদ্ধতা থাকবে না।
ডিএনডি এলাকায় কাজ করতে গিয়েও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় খালগুলো খনন করে ময়লা আবর্জনা অপসারণে বেগ পেতে হচ্ছে। যেখানেই ময়লা আবর্জনা ফেলতে যাচ্ছি সব জায়গা থেকে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। পরিবহনযোগে দূরে ময়লা আবর্জনা ফেলতে গিয়ে কাজের গতি কমে যাচ্ছে। ডিএনডিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় খালগুলোর নিচ দিয়ে পানি, গ্যাস লাইন এবং বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে সেগুলো অপসারণে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এবারের র্বা মৌসমে যাতে ডিএনডিতে জলাবদ্ধাতা না হয় সেদিক বিবেচনায় রেখেই কাজ এগিয়েচলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
Leave a Reply