নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রানের দাবীতে লক ডাউন ভেঙে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের তিনটি গ্রামের শতাধিক পরিবার।খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে ত্রাণের দাবীতে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করে নিন্ম আয়ের শতাধিক পরিবারের শত-শত নারী পুরুষ।
আজ রবিবার(১২ এপ্রি) সকাল ১১ টায় কুতুবপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কামালপুর,নয়ামাটি, ও বৌ বাজার নামক তিনটি গ্রামের নিন্ম আয়ের শতাধিক পরিবারের শত শত নারী পুরুষ ত্রানের দাবীতে একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়ীতে গিয়ে তালাবদ্ব দেখতে পেয়ে তারা মিছিল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান গ্রহন করে।সামাজিক দুরুত্ব বজায় না মেনে শত-শত নারী পুরুষ এক হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। দীর্ঘক্ষন অবস্থান করার পর কাউকে না পেয়ে বিক্ষোভরত মানুষেরা নিজ নিজ বাড়ীতে চলে যায়।
এ সময় কথা হয় ৬ নং ওয়ার্ডের কামালপুরের বাসীন্দা রহিমা বেগমের সাথে তিনি বেশ ক্ষোভ নিয়ে জানান,গত তিন দিন যাবৎ তারা ত্রানের জন্য ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রোকন উদ্দিন রোকন এবং চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর নিকট যাচ্ছেন কিন্তু যতোবারই তারা গিয়েছেন ততোবারই তাদের গেইট তালাবদ্ব দেখে খালি হাতে ফিরে এসেছেন।আজকে ও তারা গিয়েছিলেন কিন্তু তাদের কাউকে পাননি আর তাই তারা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়ছেন।
এ সময় কথা হয় ৬ নং ওয়ার্ড বৌ বাজারের ফরিদা বেগমের সাথে তিনি অভিযোগের সুরে বলেন আমাদের ঘরে খাবার নেই আমরা চেয়ারম্যান- মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়ে ত্রাণ পাইনা আর তারা মুখ চিনে চিনে তাদের লোক মারফত বাসায় বাসায় খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছে।বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া অনেকেই দাবী করেন চেয়ারম্যান- মেম্বাররা তাদের পরিচিতজনদের মাঝেই ত্রান বিতরন করছেন।তাদের নিকট থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনো তারা কোনো ত্রান পাননি।তারা আরো বলেন যারা পাচ্ছে সরকারী-বেসরকারী দুটো দিক থেকেই ত্রান পাচ্ছে আর যারা পাচ্ছেনা তারা কোনো দিক থেকেই ত্রান পাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাজী রোকন উদ্দিন রোকনের মুঠোফোনে একাধিক বার তাকে ফোন দেওয়া হলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
অপরদিকে কুতুবপুর ইউনওয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু মুঠোফোনে জানান,মিছিলের বিষয়ে তাকে কেউ কিছু বলেন নি।তাই তিনি এ বিষয়ে অবগত নন।এ সময় তিনি বলেন,কেউ যদি মিছিল করে ও থাকে সে ক্ষেত্রে তারা ত্রান না পেয়েই করেছে।তাছাড়া তার কুতুবপুর ইউনিয়নে ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোকের খাবারের প্রয়োজন।সেখানে সরকারের তহবিল থেকে খাবার এসেছে মাত্র ৩ হাজার ৪০০ জনের।এ ক্ষেত্রে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন,সাংবাদিকরা যেনো তাদের লেখনির মাধ্যমে সরকারের দৃস্টি আকর্ষন করে যে,শুধুমাত্র নিন্ম শ্রেনীর মানুষেরাই নয় বর্তমানে নিন্ম- মধ্যবিত্ত মানুষেরা ও ত্রানের জন্য চাহিদা করছে।আর তাই ত্রানের পরিমান যেনো আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়।তিনি আরো বলেন,তিনি নিজ অর্থায়নে প্রতিদিনই অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য দ্রব্য বিতরন করছেন তবে তা মানুষের চাহিদার তুলনায় সামান্যই বলা চলে।
Leave a Reply