নারায়ণগঞ্জের খবর: নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: ইমতিয়াজ আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে নতুন করে সিভিল সার্জনের দায়িত্বে এলেন চৌধুরী ইকবাল বাহার।
দায়িত্ব নিয়েই রোববার তিনি ব্যস্ত সময় কাটান। কারণ, নারায়ণগঞ্জ এখন করোনাভাইরাস ছড়ানোর একটা অন্যতম বড় স্থান । সারা দেশেই নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া যাচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেডজোন নারায়ণগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় ঢাকা মহানগরীর পরেই নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। রোববার পর্যন্ত প্রাপ্ত মোট আক্রান্তের ১৭.২২ শতাংশ এখানের।
সরকারি হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০৭ জন। মারা গেছেন ৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন। নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মো. ইমতিয়াজ আহমেদও নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন।
এ পরিস্থিতিতেই রোববার নারায়ণগঞ্জে সিভিল সার্জন হিসেবে যোগ দিলেন চৌধুরী ইকবাল বাহার। তার মাথায় এখন পাহাড়সম দায়িত্ব।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতাল করোনা ইউনিটের প্রস্তুতি কার্যক্রম চলছে। ৪০ আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ১০ শয্যার আইসিও ওয়ার্ড নির্মাণ করার জন্য পি ডব্লিউ ডি’র পক্ষ থেকে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে হাসপাতাল প্রস্তুতের কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ সেলিম রেজা।
তিনি জানান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার স্বাস্থ্য সচিবের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেনসহ বিশেষায়িত কিছু সরঞ্জামাদি প্রয়োজন। সেসব সরঞ্জামাদি যত দ্রুত সম্ভব নারায়ণগঞ্জে প্রেরণের জন্য স্বাস্থ্য সচিব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে যেসব প্রশিক্ষিত ডাক্তারকে ও নার্স নারায়ণগঞ্জে প্রেরণ করা হবে তাদের থাকা খাওয়ার জন্য জালকুড়ি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ চারটি বাংলো খালি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে এসব ডাক্তাররা যাতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার গৌতম সাহা বলেন, ‘করোনা ইউনিট প্রস্তুতির জন্য পি ডব্লিউ ডি এ জোর তৎপরতা শুরু করেছে। আশা করছি ৩-৪ দিনের মধ্যে কাঁচ দিয়ে ঘেরা বেড সম্পন্ন হলেই রোগী ভর্তি করা শুরু হবে।’
Leave a Reply