বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
আবদুর রহিম
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের পেটে অবস্থান করছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ। যে কারণে নারায়ণগঞ্জে এখন আর যুবলীগের ব্যানারে কোন কর্মকান্ড চোখে পরছে না। জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতারা এখন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে রয়েছে। মূল দলে চলে যাওয়ার পর থেকে জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতারা এখন আর যুবলীগের রাজনীতি নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাচ্ছে না। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের আগ মূর্হুত পর্যন্ত জেলা যুবলীগকে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে দেখা গেলেও, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন পর থেকে জেলা যুবলীগের কর্মকান্ড স্থবির রয়েছে। জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতারা মূল দলের শীর্ষ পদে থাকলেও যুবলীগের পদও ছাড়ছেন না। যে কারণে যুবলীগের স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এছাড়া জেলা যুবলীগ নতুন করে গঠনের কোন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় যোগ্য নেতা থাকা সত্তে¡ও জেলা যুবলীগের হাল ধরতে পারছে না নতুনরা। এর ফলে জেলা যুবলীগ নিস্ক্রয় রয়েছে এ জেলায়। যুবলীগকে নতুন করে সক্রিয় করতে হলে পুরনোদের বাদ দিয়ে তরুন প্রজন্মের হাতে নেতৃত্বে তুলে দেয়া এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতির পদ আকড়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদির। যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও। এক সময় সাংসদ শামীম ওসমানের বলয়ে থেকে তিনি রাজনীতি করতে এবং শামীম ওসমানের সুবাধেই তিনি জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর বলয়ে রাজনীতি করছেন। তিনি মেয়র আইভীর ভগ্নিপতি। জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পদক পদে রয়েছেন। তিনি সাংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবেই সর্ব মহলে পরিচিত। কমিটির সহ-সভাপতি জাকিরুল আলম হেলাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছে। যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামও নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে অধিষ্ঠিত আছেন। জেলা যুবলীগের এসব শীর্ষ নেতারা মূলের গুরুত্বপূর্ণ পদে চলে যাওয়ার পরও জেলা যুবলীগের পদ ছাড়েননি এবং জেলা যুবলীগকে নতুন করে পূর্নগঠনের ক্ষেত্রেও কোন তৎপরা দেখাচ্ছেন না। এ নিয়ে যুবলেিগর তৃনমুলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মাঠ পর্যায়ে যারা যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, তারা জেলা যুবলেিগর কমিটি পূর্ণগঠন না হওয়ায় কোন পদে আসতে পারছেন না। এ নিয়ে যুবলীগের তৃনমূলে হতাশা এবং ক্ষোভ দু‘টোই রয়েছে। অচিরেই জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হবে জেলা আওয়ামী লীগ কিংবা যুবলীগের পক্ষ থেকে একাধিক বার বলা হলেও জেলা যুবলীগ গঠন নিয়ে এসব নেতাদের কোন তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। তবে জেলা যুবলীগের কোন কর্মকান্ড না থাকায় থানা কমিটিগুলোও স্থবির হয়ে পরেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে আব্দুল কাদিরকে সভাপতি ও আবু হাসনাত শহীদ বাদলকে সাধারন সম্পাদক কমিটি গঠন করা হয়েছিল জেলা যুবলীগের। এছাড়া জাকিরুল আলম হেলালকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, আসিফ হোসেন মানুকে সহ-সভাপতি ও শাহ নিজামকে করা হয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
Leave a Reply