নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রানের নামে নগদ অর্থ ও চাউলের বস্তা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে পাগলা বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক মাহাবুবর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধেে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশ জুড়ে লকডাউনের কারণে অসহায় হয়ে পড়া দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরনের কথা বলে পাগলা বাজারের ছোট- বড় সকল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নগদ অর্থ- চাউল উত্তোলন করলেও মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু তা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশ করার না শর্তে পাগলা বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির এক কর্মকর্তা জানান,সমিতির সাধারন সম্পাদক বাচ্চু ত্রাণ বিতরন করার নাম করে উত্তোলোনকৃত চাউলের বস্তা ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করার মতো যে কাজটি করেছেন তা সত্যিকার অর্থেই ঘৃনিত এবং জগন্যতম খারাপ কাজটি করেছেন।তিনি আরো বলেন, কম করে হলে ও বাচ্চু প্রায় ৫০ টির ও বেশী চাউলের বস্তা ও এক লাখও টাকার ও বেশী নগদ অর্থ উত্তোলোন করেছেন।তিনি নিজে ও চাউলের বস্তা দিয়েছেন বলে জানান।তিনি আরো বলেন,উত্তোলোনকৃত চাউলের বস্তা ওনগদ অর্থ অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরন করার কথা থাকলে ও বাচ্চু নিজেই তা আত্নসাৎ করেছেন।এ বিষয়টি সমিতির উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম জানতে পেরে বাচ্চুকে উপস্থিত অনেকের সামনেই শনিবার নিজ কার্যালয়ে কড়া ভাষায় শাসিয়ে দিয়েছেন।এবং বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা না করার জন্য উপস্থিত সকলকে অনুরোধ করেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশী সময় দোকান খোলা রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তাঁদের নিকট থেকে ত্রাণের জন্য নগদ অর্থ বা চাউলের বস্তা দিয়ে সহযোগিতা করার দাবী করেন বাচ্চু। প্রায় সকল ব্যবসায়ী অর্থ ও চাল দিয়ে সহযোগিতা করলেও পরবর্তীতে তা অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে না বিলওয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষুূদ্ব ব্যবসায়ীরা।
তারা আরো জানায়, শনিবার সমিতির উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম তাজুর অফিসে এ নিয়ে শালিস বৈঠক হয়।সেখানে বাচ্চুকে শাসানো হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বাজারের ব্যাবসায়ীদেরকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।এ বিষয়ে মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু মুঠো ফোনে জানান,তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ তার বিরুদ্বে মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প সাজিয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছে।শনিবার দুপুরে সমিতির উপদেস্টা তাজুল ইসলামের শালিসী বৈঠকের বিষয়ে তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন বৈঠক হয়েছিলো তবে অন্য একটি বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে।তিনি সেই বৈঠকে নিজ দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে জানান আজো (রবিবার)বিকেলে একই অফিসে তাদের সমিতির বৈঠক রয়েছে এবং সেই বৈঠকে থাকার কথা বলে তিনি ফোনের লাইনটি কেটে দেন।
Leave a Reply