নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার আবদুর রশিদ আবারও গ্রেফতার হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লা পঞ্চবটী নাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুই বছরের সাজা এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রশীদ সরকার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানা পির কাশিমপুরের মৃত বাহার আলী সরকারের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুর রশীদ সরকার দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে মেডিসিন, এলার্জি, নাক-কান-গলা, থাইরয়েড, হেড-নেক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়াস্থ পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পঞ্চবটীস্থ নাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছিলেন।

আজ শুক্রবার অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আব্দুর রশীদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ইলোরা ইায়াসমিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল রশিদ ১৯৯২-১৯৯৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুরস্থ শুভেচ্ছা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ডিএমএস কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি এক ডাক্তারের তত্ত্বাবধায়নে কয়েক বছর কাজ করেন। পরবর্তীতে লোভের বশবর্তী হয়ে তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা শুরু করেন। তিনি ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বগুড়া জেলার আদমদিঘিতে আল সাফা নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আগেও গ্রেপ্তার হন। তখন ভ্রামমাণ আদালত তাকে ছয়মাসের সাজা ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে।