বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ কুতুবপুরে আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্বেচ্ছা সেবক লীগ নেতা মীর হোসেন মীরু এলাকায় না থাকলে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা হচ্ছে ফতুল্লা মডেল থানায়। অন্যদিকে মিরুকে হটিয়ে শূণ্যস্থান পূরণে মরিয়া হয়ে উঠেছে চাঁদ সেলিম, খান সেলিম, মুরাদ, হাবিবুল্লা, কিলার আক্তারের নেতৃত্বে অপর একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। এলাকায় প্রভাব বিস্তারেরও চেষ্টাসহ ডিস,ইন্টার নেটের ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নতুন গ্রুপের বিরুদ্ধে।
চাঁদ সেলিম, খান সেলিম,মুরাদ এক সময় কবরীর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিল। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে দীর্ঘদিন এলাকায় ফিরে আসতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রোষানলে পরে মীরু এলাকার বাইরে চলে যাওয়ায় কবরীর রেখে যাওয়া সন্ত্রাসীরা ভোল পাল্টিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। আর এই নিয়ে কুতুবপুরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। যে কোন সময় আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় মহল। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তারা।
সূত্রমতে, এসপি হারুণ নারায়ণগঞ্জে আসার পর যে ক’জন তার রোষানলে পরেছে হয়রানীর শিকার হয়েছে তাদের মধ্যে মীরু অন্যতম। পুলিশের ভয়ে এলাকার বাইরে চলে গেলেও মীরুর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে। হজে¦ থাকা অবস্থায়ও মীরুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ফতুল্লা মডেল থানায়। অভিযোগ হয়েছে একাধিক। জেল হাজতে থাকতে হয়েছে মীরুর ভাই-ভাগ্নেকে। এদিকে মীরুর শূণ্যস্থান পূরণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী চাঁদ সেলিম,খান সেলিম,মুরাদ ও হাবিবুল্লার নেতৃত্বে থাকা অপর একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। ইতোমধ্যে মীরুর ডিস এবং ইন্টার নেটের ব্যবসা দখলে বেশ কয়েক বার তৎপরতা চালিয়েছে। সন্ত্রাসী চাঁদ সেলিম ও খান সেলিম কবরীর ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিল। মুরাদও কবরীর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। হাবিবুল্লাহ এক সময় মীরু সাথে থাকলেও এক মীরুর বিরোধীতা করে নতুন বাহিনীতে যোগ দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁদ সেলিম, খান সেলিম, মুরাদ ও হাবিবুল্লার নেতৃতে বিশাল একটি বাহিনী এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নানা ধরনের সন্ত্রাসীকর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেছে। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যবসী থানা অভিযোগ দিয়েছে। তবে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।
Leave a Reply