বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
আবদুর রহিমঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের অস্থিত্ব টিকে আছে ফতুল্লার নেতাদের উপর ভর করে। জেলা যুবলীগের ব্যানারে কোন কর্মকান্ড নেই অনেক আগে থেকেই। জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতারা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পথে আসিন হয়েই যুবলীগের রাজনীতি থেকে নিজেদের ঘুটিয়ে নিয়েছেন। এরপর থেকেই জেলা যুবলীগকে বাঁচিয়ে রাখতে যে ক’জন নেতা কাজ করছেন তাদের বেশীর ভাগ নেতাই ফতুল্লার। ফতুল্লা নেতারা নারায়ণগঞ্জে গিয়ে যুবলীগের হয়ে নানা কর্মকান্ড করছেন। শহরের রাজপথ প্রকম্পিত করছেন। সর্বশেষ যুবলীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে প্রথম সাড়িতে ছিলেন ফতুল্লার নেতারা। রাজপথে শোডাউন, কেক কাটাসহ নানা কর্মকান্ডে ফতুল্লার নেতাদের দেখা গেছে। আর এ নিয়ে এখন জেলা যুবলীগে চলছে নানা আলোচনা। তবে জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির যুবলীগে আর থাকছেন না তা বক্তব্যে প্রকাশ করেছেন। তবে কবে যুবলীগ ছাড়ছেন তা তিনি স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। ২ বছরের কমিটি দিয়ে ১৪ বছর পার করেছে জেলা যুবলীগ। জেলা যুবলীগের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক ছাড়া অনেকেই এখন রাজনীতিতে নেই। অনেককে কেউ ঠিক ভাবে চিনেন না। তবে জেলা যুবলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে আসিন হয়েছেন। এরপর থেকে জেলা যুবলীগের ব্যানারে ওইসব নেতাদের দেখা যায় না। তবে যুবলীগকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন যে ক’জন নেতা তাদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক, সাধারন সম্পাদক এম এ মামন্না, কাঠেরপুলের আজমত আলী, তল্লার বিপ্লব, ফতুল্লা তক্কার মাঠের সানোয়ার হোসেন জুয়েল,কুতুবপুরের আবদুল খালেক ও আবদুল মালেক অন্যতম।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের বয়স ১৪ বছর। মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে অনেক আগে। কিন্তু তারপরও জেলা যুবলীগ নতুন করে গঠন নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতারা মূল দলে চলে গেলেও নতুন করে জেলা যুবলীগ গঠনের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। জেলা যুবলীগের সভাপতি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদলও হেলাল আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারপরও তারা যুবলীগ ছাড়ছেন না। এ নিয়ে যুবলীগের মাঠ পর্যায়ে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। কেউ কেউ প্রকাশ্যে জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সমালোচনা করছেন। কিন্তু তারপরও কোন কাজ হচ্ছে না। জেলা যুবলীগের ব্যানারে কোন কর্মকান্ড নেই। অথচ এক সময় নারায়ণগঞ্জ যুবলীগ রাজপথ প্রকম্পিত করতেন। জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে জেলা যুবলীগই যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে জেলা যুবলীগের কোন অস্থিত্ব নেই। তবে জেলা যুবলীগের রাজনীতিকে ধরে রেখেছেন পদের বাইরে থাকা বেশ কিছু নেতা। যুবলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে আহসানুল হক নিপু ও শরীফুল হকের হাতে তুলে দেয়া প্রয়োজন। এই দুই নেতা জেলা আওয়ামী লীগের নানা কর্মকান্ড সফল করতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে অংশ নিয়ে থাকেন। যে কারণে জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার এই দুই নেতা। অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের শীর্ষ পদে আনা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন যুবলীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনে আবদুল কাদির সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বৈরি সময়ে ওই সম্মেলনে ছিল আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের অবস্থান। এছাড়াও সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা জাকিরুল আলম হেলালকে করা হয় সিনিয়র সহ-সভাপতি, আসিফ হোসেন মানুকে সহ-সভাপতি ও শাহ নিজামকে করা হয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
Leave a Reply