নিজস্ব প্রতিবেদক
বুধবার দুপুরে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুটি মৃত দেহ উদ্বার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। নিহতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর এলাকার হানিফ মিয়ার পুত্র আবদুল্লাহ ও একই থানার কাইয়ুমপুর বটতলা এলাকার মৃত আব্দুস সালামের পুত্র কবির হোসেন(৫৫)।
ফতুল্লা থানা পুলিশ জানায়, বুুধবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় লোক মারফত সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ থানার অক্টোঅফিস কেন্দ্রিয় ঈদগাহঁ মাঠের সামনের পুকুর হতে একটি সিএনজি বেবী টেক্সি উদ্বার করা হয়।এ সময় সিএনজি বেবী টেক্সির পিছনে যাত্রীদের বসার স্থান থেকে আব্দুল্লাহ নামক এক যুবকের মৃত দেহ উদ্বার করা হয়।প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা দূর্ঘটনা বসত সিএনজি বেবীট্যাক্সি পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায় এবং সিএনজি ড্রাইভার নিজ আসন থেকে দরজা খুলে বের হতে পাারলেও পিছনে বসা আবদুল্লাহ হয়তোবা বের হতে পারেনি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন নিহত আব্দুল্লাহর পিতার বরাত দিয়ে জানান,আব্দুল্লাহর পিতার সাথে একদিন পূর্বে আব্দুল্লাহর কথা কাটাকাটি হলে রাগ করে আব্দুল্লাহ বাসা থেকে বের হয়ে যায়।এরপর মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত এক সিএনজি চালক নিহতের বাবকে মোবাইল ফোনে ফোন করে জানায়, যে তার ছেলে গুলিস্থান রয়েছে এবং সিএনজিতে চড়ে ভাড়া দিতে পারছেনা।তখন নিহতের বাবা সিএনজি চালককে তার বাসায় এসে ভাড়া নিয়ে যেতে বলেন।আর তাই ধারনা করা হচ্ছে নিহতের বাসায় যাবার পথে ভোর রাতের কোন এক সময়ে সিএনজি বেবীট্যাক্সিটি ঈদগাঁহ মাঠের সামনের পুকুরে ডুবে যায়।এতে করেই আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়।মৃত দেহ উদ্বার করে পোস্টমোর্টেমের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরো বলেন প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর ঘটনাটি দূর্ঘনটা মনে হচ্ছ।পোস্টমোর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে এবং সিএনজি চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে ফতুল্লার কায়েমপুরে একই দিনে দুপুর সাড়ে চারটায় কবির হোসেন নামের এক বৃদ্বের মৃত দেহ উদ্বার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এস,আই শরিফুল জানান,কবির হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে পালিত ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।আর তাই মঙ্গলবার রাতেই মৃতের পুত্র কামরুল হাসান মিঠু ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।আজ(বুধবার) দুপুর সাড়ে চারটার দিকে সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসে কায়েমপুর বটতলাস্থ চরপাখি পুকুর হতে মৃত দেহ উদ্বার করা হয়।তিনি আরো বলেন পুকুরের সামনের একটি জায়গা থেকে সে প্রতিনিয়ত ঘাস কাটতে যায়।অন্যান্য দিনের মতো সে মঙ্গলবার দুপুরে ও ঘাস কাটতে গিয়েছিলো।ধারনা করা হচ্ছে ঘাস কাটতে গিয়ে পা পিছলে পুকরে ডুবে গিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কোনো এক সময়ে তার মৃত্যু হয়।মৃত দেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply