নিজস্ব প্রতিবেদক: ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করায় পিতা সুজন মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে শিয়াচরের সেন্টু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত রোববার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেন্টুর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ হয়েছে। এ দিকে থানায় অভিযোগের পরও হুমকী অব্যাহত রয়েছে। জীবনের নিরাপত্তাহীনয় ভুগছে হামলার শিকার সুজন মিয়ার পরিবার।
অভিযোগে জানাযায়, গত রোববার সেন্টু বাড়ির কুকুরকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ব্যবসায়ী সুজন মিয়ার পুত্র। এ ঘটনা সুজনের পুত্রকে সেন্টু ও তার ছেলে মারধর করে। মারধরনের ঘটনা জানতে গেলে সেন্টু বাহিনী সুজন মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চেলায়। এসময় ধারালেঅ অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময় সুজন মিয়ার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সেন্টু ও তার বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় সুজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় সেন্টু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
এদিকে, সেন্টু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হওয়ায় আহত সুজনের পরিবারকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ সুজনের পরিবারের। এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই শামিম জানায়, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আসামিরা পালাতক রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেন্টু বাহিনী এলাকায় প্রায় সময় এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকেন। তুচ্ছু ঘটনার জের ধরে সেন্টু ও তার ছেলে মাঝেমধ্যেই মানুষকে মারধর করে থাকে। সেন্টু জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের দুই নেতা এবং ফতুল্লার এক প্রভাবশালী শ্রমিক নেতার নাম ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে থাকে। উল্লেখ্য, বিগত ৪/৫ বছর পূর্বে রাতের অন্ধকারে এক সাংবাদিকের বাসায় হামলা চালাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয় এই সন্ত্রাসী।
Leave a Reply