June 9, 2023, 5:39 am
নারায়ণগঞ্জের খবর: শাহজাহান রোলিংমিল, রেললাইন বটতলা এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা জুয়ার, মাদকের আসর। দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চলার কারনে এলাকার অনেক লোকজন নিঃস্ব হচ্ছে, দেখা দিচ্ছে চরম ক্ষোভ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পেশাদার জুয়ার আসর পরিচালনাকারী খাঁ বাড়ী এলাকায় রাজন-মোহন, কাসেম বাবুর্চীর ছেলে রাজু, চুইল্লা বাবু, সাউদ কমিউনিটি সেন্টার এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে জাহিদ, রুপা মাস্টারের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী সাহাজাদার নেতৃত্বে এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এই জুয়ার আসর প্ররিচালনার পাশাপাশি চলে মাদক বিক্রি।
প্রতিদিন হাত বদল হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জুয়ার আসরে খেলার পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন স্পটে চলছে নেশার রমরমা কারবার। ফতুল্লা থানার কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দিন-রাত রমরমা জুয়া ও মাদকের আসর চললেও এটা বন্ধে কোনো ভূমিকা লক্ষ করা যায় না। তবে অভিযোগ রয়েছে, উপর মহলকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে এ অনৈতিক কর্মকান্ড। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে জমজমাট এ জুয়ার আসর।
এলাকাবাসী জানায়, এ জুয়ারীদের উপর আশীর্বাদ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদেরও। চরকা নামের এ জুয়া আসরে এলাকার উঠতি বয়সী যুবক, আলোচিত জুয়াড়িরা এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দুর-দূরান্ত থেকে আসা জুয়াড়িরা এখানে লাখ লাখ টাকার হাত বদল করছে এবং প্রতিদিন এ চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই টাকা খুইয়ে হচ্ছেন নিঃস্ব। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা একটি সংঘবদ্ধ চক্র ও হলুদ সাংবাদিক মিলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালাচ্ছে নিষিদ্ধ জুয়ার আসর। এ জুয়াকে কেন্দ্র করে স্পটে নেশা গ্রহন সমান তালে চলায় জুয়া ও মাদকের মোহে পড়ে অনেকে বসছেন পথে। চলমান জুয়া ও মাদকের আসর নিয়ে এ অঞ্চলের অভিভাবক ও তাদের পরিবার উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
সূত্রটি আরো জানায়, জুয়ার আসরে ও এলাকার উঠতি যুবকদের মাঝে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল বিক্রি করছে, জুয়াড়ি চক্র স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে সক্ষতা রেখে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে ওই চক্রটি অনেকটা বেপরোয়া হয়েই এ অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অসাধু চক্রটি দীর্ঘদিন জুয়ার কারবার চালিয়ে যাওয়ায় এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও উঠতি বয়সের যুবকদের মধ্যে নানা প্রতিকুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ খোয়াচ্ছে, কেউ সামান্য লাভবান হচ্ছে। নেশায় বুদ থাকায় খোয়ানো পার্টি আঁচ করতে পারছে না। তবে বেশির ভাগ জুয়া খেলতে এসে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে। বিভিন্ন সময়ে জুয়া আসর চালানোর কারণে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে এমন তথ্যও মিলছে। এলাকা থেকে অভিযোগ উঠেছে জুয়া আসরকে ঘিরে বিভিন্ন মাদকের সহজ প্রাপ্যতা হওয়ায় দিন দিন এলাকার উঠতি যুবক ও ছাত্র সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। কোনো অবস্থাতেই তাদের সন্তানদের এই মরন নেশার থেকে দূরে রাখতে পারছে না। অনেক সময় অধিকাংশ পরিবারে বিরাজ করছে অশান্তি। পরিবার থেকে অর্থ না পাওয়ায় জুয়া বোর্ডের দিকে ঝুঁকছে আর জুয়াড়িদের নির্বিঘ্নে খেলায় সহযোগিতা করতে বোর্ড পরিচালনাকারী চক্র এদেরকে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন খাবার, মাদক সরবরাহ, জুয়াড়িদের নির্দিষ্ট আসরে পৌঁচ্ছে দেওয়াসহ মোড়ের চায়ের দোকনগুলোতে পাহারাদার হিসাবে দিন-রাত বসিয়ে রাখা হচ্ছে। যুবকদের দিন শেষে হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিচ্ছে। আর এই টাকা দিয়েই অনেকে নেশা করছে। মাঝে মাঝে এলাকায় কিছু ছোট-বড় চুরির ঘটনাও ঘটছে বর্তমানে জুয়া আসরের সাথে মাদকের ভয়াবহতাও বৃদ্ধি পাওয়ায়। জুয়া ও মাদকের আসরকে ঘিরে এলাকার অভিভাবক তাদের সন্তান ও পরিবেশ নিয়ে বেশ চিন্তিত।
Leave a Reply