September 23, 2023, 4:49 pm
ডেস্ক নিউজঃ ব্রয়লার মুরগির অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা দিতে চার প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠান চারটি হলো- কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ ও প্যারাগণ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড।
বুধবার (২২ মার্চ) রাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপৃর দেড়টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা দিতে প্রতিষ্ঠান চারটির মালিক অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা জেনারেল ম্যানেজারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৯ মার্চ পোল্ট্রি মুরগির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সভায় ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় কর্পোরেট পর্যায়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ২০০ টাকার বেশি নয় বলে জানায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
কিন্তু বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচা বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির যৌথ তদারকিতে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি কাপ্তান বাজারে পাইকারি পর্যায়ে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া সিলেটে ২২৬ টাকা, কুমিল্লায় ২২৪ টাকা, হবিগঞ্জে ২২১ টাকা, নরসিংদীতে ২২০ টাকা, টাঙ্গাইলে ২১৮ টাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে ২১৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা যৌক্তিক মূল্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবেন বলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাজারে তা দেখা যায়নি। বরং আরও বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে৷ যা ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ২১ (খ) ধারা অনুযায়ী অপরাধ।
তাই পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনকারী চার প্রতিষ্ঠানকে ব্রয়লার মুরগির অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা দিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অধিদপ্তরের প্রধান কর্যালয়ে তলব করা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Leave a Reply