September 27, 2023, 8:41 am
আবদুর রহিমঃ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে দ্বিমুখী কিংবা ত্রিমুখী তৎপরতা দীর্ঘদিনের। দলের একাধিক গ্রুপে বিভক্তি হয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকে দলের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিনের এমন চর্চা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে একটি পক্ষ দলের আহবায়ক গিয়াসকে পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করছেন। এরআগেও এই পক্ষ দলের অপর একটি পক্ষকে কোনঠাসা করে রেখেছিলেন এমন অভিযোগ দলের একাধিক নেতার। ফলে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত ছিলেন কোনঠাসা হয়ে থাকা নেতাকর্মীরা। গিয়াসের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর তাঁরা আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হয়।
চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে জেলা বিএনপির এই বিভাজন কাম্য নয় দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের কাছে। তাঁদের মতে, দলের ভেতরের অনৈতিক্য দল এবং দলের নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিবে। বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপিতে ঐক্যের বিকল্প নাই। এই মূহুর্তে দলের বিভাজন কর্মীদের জন্য অশনি সংকেত।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিভাজনের রাজনৈতিক চর্চা। দলের ভেতরেই থাকছে একাধিক গ্রুপ। মূলধারার বাইরে একাধিক বলয় গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের কমিটি হওয়ার পরও একটি পৃথক বলয় গড়ে উঠেছে। গিয়াস উদ্দিনকে আহবায়ক করে জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর ভেঙে দেয়া আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়। এরপর থেকেই অধ্যাপক মামুন গিয়াসকে পাশ কাটিয়ে পৃথক বলয় গড়ে তুলেন। জেলা বিএনপির ব্যানারে তিনিসহ তাঁর অনুসারীরা অনুপস্থিত থাকছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা আসলেও মামুন মাহমুদকে পাশে পাচ্ছেন না জেলা বিএনপি।
ফলে তাঁদের মধ্যকার বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর দলের একটি অংশকে রাজনৈতিক ভাবে কোনঠাসা করে রাখেন অধ্যাপক মামুন এবং তাঁর অনুসারীরা। সভামঞ্চ দলে রাখা, ব্যনারের সামনে দাঁড়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা, নিজ দলের প্রতিপক্ষের উপর হামলা করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছিল। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দলের বিশাল একটি অংশ দলীয় কর্মকান্ড থেকে নিজেদের ঘুটিয়া নিয়েছিল।
গিয়াস আহবায়ক হওয়ার পর কোনঠাসা হওয়া নেতারা সক্রিয় হলেও মামুন মাহমুদ, জাহিদ হাসান রোজেল, একরামুল মামুনরা গিয়াসের নেতৃত্বকে মেনে নিতে পারেনি। ফলে শুরু থেকেই এ কমিটিকে পাশ কাটিয়ে চলছে। তবে বর্তমানে দলের মধ্যকার বিভাজন কর্মীদের কাছে কাম্য নয়। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া থাকা প্রয়োজন।
Leave a Reply