বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের ডেস্ক: টানা বর্ষনে নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর প্রায় এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি। অনেকের বসতঘরে পানি উঠেছে। ঘরের আসবাব পত্র তলিয়ে আছে পানির নিচে। বিশেষ করে ডিএনডি এলাকার ঘরে ঘরে বৃস্টির পানি ঢুকেছে।ফলে মানুষ পড়েছে নিদারুণ কস্টে।খোজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত একটানা বর্ষনের কারনে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়।এছাড়া অলিগলিতে হাটি সমান পানি।
দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম দেওয়ান জানান,কোন বছরই তার বাসায় বর্ষা কালে পানি প্রবেশ করেনি।এবার একদিনের বৃস্টিতে ঘরে পানি ঢুকেছে। আসবাব পত্র সব ডুবে গেছে। আমাদের কস্টের কি আর শেষ আছে? তিনি বলেন, মাত্র বর্ষা কাল শুরু।সামনে আমাদের কি দুর্গতি আছে আল্লাহ ভালো জানেন।ডিএনডির ফতুল্লা দেলপাড়া টাওয়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা আতিকুর রহমান বিদ্যুৎ মুঠোফোনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানান,রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে,অনেকের বাসায় পানি ঢুকেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে তারা। তিনি আরো জানান,মাত্র বর্ষাকাল শুরু এখনি একদিনের বৃস্টিতে পানিবদ্ধ হয়ে পড়ছি আমরা। বর্ষাকালের বাকি সময়টা নিয়ে আমরা শংকিত।এত কোটি টাকা খরচ করে সরকার ডিএনডির জলবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে তার নমুনা এটা প্রশ্ন রাখেন তিনি।
কাশিপুর এলাকা থেকে আইনজীবী সাইদুল ইসলাম সুমন আজ সকালে জানান, তার আশেপাশে বিশাল এলাকার জুড়ে জলবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে, নিচু এলাকায় বাসা বাড়িতে পানি ঢুকেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ডিএনডি এলাকার মাহমুদপুর, ভুইগড়, দেলপাড়া, নয়ামাটি, নুরবাগ, নন্দলালপুর, পিলকুনি, কুতুবআইল, গাবতলি, লালপুর, সস্তাপুরইসদাইর, কলেজ রোড, মাসদাইর বাজার, নাগবাড়ি, দেওভোগ,পাইকপাড়া, বাবুরাইল,নারায়ণগঞ্জ শহর,হাজীগঞ্জ, পাঠানতলি,গোদনাইল,জালকুড়ি সহ প্রায় এলাকা জলবদ্ধতার কবলে পড়েছে মানুষ।ফতুল্লা থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান ,সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিকোতালের বাগ ইসদাইর এলাকায়।দিনমজুর ও অটোচালকরা আরো বেশি ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। তাদের নিম্ন আয়ের কারনে তারা সাধারনত নিম্নাঞ্চলের বস্তির ঘরগুলিতে ভাড়া থাকতে হয়। জলাবদ্ধতার বৈরী আবহাওয়ার কারনে আজ কোন আয় নেই। ডুবে গেছে আবাসস্থল, ভেসে যাচ্ছে ঘরের মালামাল।
Leave a Reply