মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
আবদুর রহিম
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সাংগঠনিক ভিত নরবরে হয়ে পরেছে। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরোধের কারণে মুখ থুবড় পরেছে রাজনৈতিক কর্মকান্ড। একমঞ্চে থেকে দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে আহবায়ক কমিটি গঠন হলেও বিএনপির বিরোধ আরো বেশী চাঙা হয়ে ওঠেছে। জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমুর আলম খন্দকার সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের কাছে অসহায় হয়ে পরেছে বলেও জেলা বিএনপির রাজনীতিতে গুঞ্জন রয়েছে। ফলে এবারের মতো ভেস্তে গেছে বিএনপি পুনঃগঠণ প্রক্রিয়া। তবে দলের এই দুঃসময়েও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরোধকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছে না দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। তাঁরা চাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিদের্শে কাজ শুরু করে জেলার শীর্ষ নেতারা। এ লক্ষ্যে আহবায়ক কমিটিও গঠন করা হয়। আর এই আহবায়ক কমিটি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির পুণঃগঠন প্রক্রিয়া। জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.তৈমুর আলম খন্দকার ও সদস্য সচিব বিরোধে জড়িয়ে দুই মেরুতে অবস্থান করছেন। আর পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছেন বিএনপির হাই কমান্ড। রাজধানী সিদ্ধেশ্বরী ও ফকিরাপুল এলাকায় পৃথক অফিসে বসে জেলা বিএনপি নিয়ে খেলছেন সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ এমন অভিযোগ খোদ বিএনপির একাধিক নেতার।
মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে পদ পদবীর নামে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগের বিষয়টি দীর্ঘদিনের। আর এ কারণেই বিএনপি পুণঃগঠন প্রক্রিয়া থামকে দাঁড়িয়েছে। মামুদ মাহমুদ আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যদের বিএনপির শীর্ষ পদে আনতে নানা তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে বলেও বিএনপি থেকে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ফতুল্লা,সিদ্ধিরগঞ্জ,রূপগঞ্জ কমিটি নিয়ে মামুন মাহদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ শুরু থেকেই উঠেছে।
অপরদিকে, জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমুর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের কুটচালের কাছে অসহায় হয়ে পরেছে এমন দাবি বিএনপির একাধিক সূত্রের। মামুন মাহমুদ এখন পৃথক বলয় গড়ে তুলে নিজের পাল্লা ভারী করে তৈমুর আলমকে পাশ কাটিয়ে তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। তৈমুর আলম খন্দকারকে ছাড়াই থানা,পৌর কমিটি গঠনকল্পে কাজ শুরু করেছেন মামুন মাহমুদ। তবে বিএনপি এ অবস্থান থেকে পরিত্রান চায় তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। তাঁদের দাবি, জেলা বিএনপির এই দূরাবস্থা থেকে রক্ষা করতে হলে শীর্ষ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই।
Leave a Reply