October 3, 2023, 11:39 pm
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তৈমুর আলম খন্দকারের বাসা থেকে ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকীকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে জেলা ছাত্রদল সভাপতি রনির ক্যাডার বাহিনী। শনিবার (৬ ফেব্রæয়ারী) বিকেলে মাসদাইরে এই সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাগর সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ও ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রনি বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় বিএনপির শীর্ষ নেতারা আহত ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ জড়িত রয়েছে বলে আহত নেতাকর্মীদের অভিযোগ। তাদেও দাবি, তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় আয়োজিত মতবিনিময় সভাটি পন্ড করতেই পরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়।
সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এসময় অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সাগর সিদ্দিকী নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে যায়। এদিকে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রনির ক্যাডার বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র,দেশীয় তৈরীর ধারালো অস্ত্র, স্ট্যাম্প,লোহার পাইপ নিয়ে সাগর সিদ্দিকী ও তার সহকর্মীদেও উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকীকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এসময় সাগর সিদ্দিকীকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীদের হামলায় জাকির, উজ্জল, মামুন, রবিউলসহ ৮/৯জন আহত হয়। হামলার সংবাদ পেয়ে তৈমুর আলম খন্দকারের বাড়ির ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসেন তৈমুর আলম খন্দকার, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, শাহ আলম মুকুল, সাদেকসহ সিনিয়র নেতারা বিড়িয়ে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। এসময় রনির ক্যাডার বাহিনীর হাত থেকে বেশ কিছু লোহার পাইপ,স্টাম্প উদ্ধার করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে জেলা গোয়েন্দা(ডিবি) ও ফতুল্লা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রনির ক্যাডার বাহিনীর দৌড়ে পালিয়ে যায়। এবং দ্রæত মতবিনিময় সভা শেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
অন্যদিকে, আহত ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকীসহ আহতদের উদ্ধার করে শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম আহবায়ক আব্দু, সদস্য মাশুকুল ইসলাম রাজিব, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিবসহ শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে ছুটে যান এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। আহত সাগর সিদ্দিকী জানায়, হামলার সময় জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনির বাবা মোস্তফা কন্ট্রাক্টর, ভাই রুবেল, ভাগ্নে ইয়াসির আরাফাত, মেহেদী হাসান দোলন, পল্লব, সাজ্জাদ হোসেন সাজ, কাজী মোস্তাকিম, সজিব ওয়াজেদ জয়, তোফায়েল,শান্ত, সুমন, বিসিকের ঝুট সন্ত্রাসী বিল্লাল, রবিউলসহ প্রায় ৪০/৫০ সশস্ত্র ক্যাডার হামলায় অংশ নেয়। ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে এই হামলা চালানো হয়।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি(তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানায়, হামলার খবর পেয়ে ফতুল্লা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয় লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply