নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামীলীগের রাজনীতি’র সাথে জড়িত না থেকেও কিংবা ওয়ার্ড,ইউনিয়ন বা থানার কোন কমিটিতে সদস্য না থাকা সত্ত্বেও সদ্য ঘোষিত ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সহ-সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন মোস্তফা কামাল। আর এ নিয়ে সর্বত্রই বইছে সমালোচনার ঝড় ।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ঘোষিত হয়েছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। নতুন বছরের শুরুর দিকে ঘোষিত ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ফতুল্লা থানার কাঠেরপুল রামারবাগের মোস্তফা কামাল। কখনো আওয়ামী লীগ না করা মোস্তফা কিভাবে থানা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা-সমালোচনা।
মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে ।আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এমন একাধিকজনের সাথে আলচনাকালে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর আরো বিভিন্ন তথ্য। বিএনপি-জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবেও মোস্তফা কামাল আলোচনায় ছিল বরাবরই। ফতুল্লার আলোচিত বিএনপি নেতা তৈয়ব ওরফে বরিশাইল্লা তৈয়ব আলীর আপন বেয়াই মোস্তফা কামালকে কখনোই আওয়ামী লীগের কোনো প্রকার আন্দোলন, সংগ্রাম কিংবা দলীয় কর্মসূচীতে দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতিক সময়ে তাকে দু একটি কর্মসূচিতে দেখা গেলেও শির্ষস্থানীয় নেতাদের সংস্পর্শে থাকতেই দেখা গেছে বেশী।
সূত্রমতে, মোস্তফা কামাল দলের নাম ভাঙিয়ে প্রেসিডেন্টের পুত্রের বন্ধু পরিচয় বহন করে নানা উপায়ে অর্থ উপার্জন করে নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তিও করেছেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। আওয়ামীলীগ নেতা- কর্মীদের নিকট হাইব্রিড হিসেবে পরিচিত মোস্তফা কামাল ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণে কাঠেরপুল এলাকার বহুল পরিক্ষীত ও ত্যাগি আওয়ামীলীগ নেতা মৃত গিয়াস উদ্দিন ও আজমত আলীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে জন্ম দেয় বিতর্কের। পুরোটা দখল নিতে না পারলেও আংশিক দখলে নিয়েছেন এই হাইব্রিড নেতা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের কিছুদিন পূর্বে সে আওয়ামীলীগে যোগদান করে শির্ষ নেতাদের সংস্পর্শে এসে নানা ফায়দা লুটে নেবার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জায়গা-জমির ব্যবসাও করছেন চুটিয়ে। আর সেক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন ক্ষমতার তুঙ্গে থাকা দলের প্রথম সারির নেতাদের নাম।ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিরাট সুরম্য কমপ্লেক্স। শুন্য থেকে রাতারাতি অঢেল সম্পত্তি মালিক হয়ে যাওয়া মোস্তফা একসময় ছিলেন স্পিডবোর্ড তৈরী করার কারখানার শ্রমিক মাত্র। এখন অবশ্য আর সেদিন নেই। অদৃশ্য জাদুর চেরাগে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, দলের সুসময়ে এরকম হাইব্রীড-দলছুট ব্যক্তিদের পদায়ন দলের ক্ষতিসাধন করবে। দলের দুঃসময়ে ত্যাগী- নির্যাতিত নেতাকর্মীরাই বারবার দলের হাল ধরে এসেছেন, আগামীতেও এর ব্যতিক্রম হবে না। দলের হাইকমান্ড থেকেও বারবার হাইব্রীডদের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করা হচ্ছে কড়া হুশিয়ারি।
এতোকিছুর পরেও অন্য দলের অর্থ যোগানদাতারা আওয়ামী লীগের পদ পাওয়া সংগঠনের জন্য অশনি সংকেত হিসেবেই দেখছেন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল।
Leave a Reply