শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নবজাতককে কোলে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেলেন তের বছরের কিশোরী নাদিয়া। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা অডিটরিয়ামে বাচ্চা কোলে নিয়েই তার বিয়ে হয়। নাদিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৯ মাস আগে কিশোরী নাদিয়া প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হয়। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা পাশ্ববর্তী বাড়ির সানাউল্লাহর ছেলে মোবারক হোসেন কিশোরীকে জোর পূর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষন করে। পরে বেশ কয়েকবার ঐ কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে বহুবার ধর্ষন করে। একপর্যায়ে কিশোরীর সঙ্গে তার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন পর কিশোরীর মা তার মেয়ের শারিরিক পরিবর্তন দেখে অন্তসত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তার মেয়ের কাছে জানতে চায়। পরে কিশোরী নাদিয়া তার মাকে সব ঘটনা জানায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে বখাটে মোবারক গত ২ মাস আগে মালয়েশিয়া চলে যান।
এদিকে গত (৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার কিশোরী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। পরে কিশোরীর মা-বাবা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিচারের আশায় ৫ দিন ঘুরেও বিষয়টির উপযুক্ত কোন সমাধান করতে না পেরে মেয়েটির পরিবার রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগমের কাছে এসে নবজাতকের পিতৃ পরিচয় পেতে বিচার দাবী করে। পরে ইউএনও উভয় পরিবারের লোকজনকে ডেকে মেয়েটিকে বিয়ে করার কথা বললে উভয় পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়। পরে গতকাল বিকালে উভয় পরিবারের সম্মতি ক্রমে ১০ লক্ষ টাকা কাবিন ও নবজাতকের নামে ২ শতক জমি লিখে দেয়ার চুক্তি সাপেক্ষে প্রবাসী মোবারকের সাথে ভিডিও কলে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের শাড়ী, কাবিনের ফি ও বিভিন্ন খরচাদী ইউএনও নিজেই বহন করেন। বিষয়টির সুষ্ঠ ও সামাজিক ভাবে সমাধান হওয়ায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক ভূইয়া, ভোলাব ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু।
Leave a Reply