October 4, 2023, 12:57 am

ঈদে ৩৮হাজার পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর প্রচেষ্টা সেলিম ওসমানের

নারায়ণগঞ্জের খবরঃ পবিত্র ঈদ উল ফিতরে প্রতিটি পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে প্রতিবারের ন্যায় এবছরেও ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংদস্য সেলিম ওসমান। এ বছর তিনি ৩৮ হাজার প্যাকেট ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা বন্দর ও শহরের ৩৮ হাজার পরিবারকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যার মধ্যে ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ পক্ষ থেকে আড়াইহাজার প্যাকেট এবং বাকি গুলো তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রদান করা হচ্ছে। প্রতি প্যাকেট রয়েছে ১টি শাড়ি অথবা ১টি লুঙ্গি, ১ কেজি প্রাণ চিনিগুড়ো চাল, ১ কেজি তীর চিনি, ১ লিটার তীর সয়াবিন তেল, ৪০০ গ্রাম প্রাণ গুড়ো দুধ, ৪০০ গ্রাম লাচ্ছা সেমাই। একটি পরিবারে কমপক্ষে ৪ জন সদস্য হিসেব করে এই প্যাকেট গুলো করা হয়েছে। যেখানে আনুমানিক মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা।

রোববার ২৬ মে দুপুরে সমবায় ভবনের ৪র্থ তলায় বিএসবিএল কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সে পবিত্র উল ফিতর উপলক্ষ্যে অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এসব বিষয় উল্লেখ্য করেন।

এ সময় এমপি সেলিম ওসমান আশা প্রকাশ করেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিন গুলোতে যেন দেশে কোন অসহায় দরিদ্র মানুষ না থাকে। তাঁকে যেন এভাবে আর সহযোগীতা নিয়ে মানুষের সামনে আসতে না হয়। অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফুটানোই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এজন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে সহযোগীতা কামনা করছি। প্যাকেট গুলো আপনাদের দায়িত্বে বিতরণ করবেন। মনে রাখবেন ভোট বিবেচনা করে নয় প্রকৃত অসহায় মানুষের হাতে ঈদ উপহার সামগ্রী গুলো পৌছে দিবেন। যাতে করে ঈদটা তারা আনন্দে উপভোগ করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে অথচ ওই দিন তাদের বাড়িতে চুলো জ্বলেনা। দলীয় এমন কর্মীদেরকে সহযোগীতা করতে কোন বাধাঁ নেই। এটা আপনারা চেয়ারম্যান মেম্বাররা একটু খেয়াল রাখবেন।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমরা সবাই মিলে কিছু অসহায় মানুষের কাছে যেতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। প্রতি বছরই আমি কিছু না কিছু করার চেষ্টা করি। বিত্তবানের উচিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এটাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। ঈদ আনন্দের দিন। আমরা রোযা রাখি, আমরা ভাল খাই। আর যারা বছর ধরেই রোযা রাখে না খেয়ে থাকে, তারা একটা দিন একটু ভাল খেতে চাই, পরিবারকে সাথে নিয়ে। তাদের মুখে হাসি ফুটাতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কখনও দল দেখে কাজ করি নাই। আমি সরকারি দল না বিরোধী দল নিজেও জানি না। আমি রাজনীতি বুঝি না, বুঝতেও চাই না। আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি সবাই একসাথে বসে কাজ করেছি। আমি মনে করি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া এটাই। সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে পারি। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বিকেএমইএর সহ সভাপতি মনসুর আহমেদ, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবু জাহের, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহম্মেদ সাগর, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশেদ, হোসনে আরা, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ সহ সকল ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য এমপি সেলিম ওসমান ২০১৪ সালে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাঁর নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এবং দুটি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করে থাকেন। যার মধ্যে ২০১৪ সালে ২০ হাজার প্যাকেট, ২০১৫ সালে ২৬ হাজার প্যাকেট, ২০১৬ সালে ৫০ হাজার প্যাকেট, ২০১৭ সালে ২০ হাজার প্যাকেট এবং ২০১৮ সালে ২০ হাজার প্যাকেট ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ছিল, ১টি শাড়ি/ ১টি লুঙ্গি, ১ কেজি ফ্রেস চিনি, ৪০০ গ্রাম গুড়ো দুধ, ১ লিটার ফ্রেস সয়াবিন তেল, ১ কেজি প্রাণ চিনি গুড়া চাল, ৪০০ গ্রাম চিকন সেমাই। উক্ত প্যাকেট গুলো এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহলের সহযোগীতায় প্রদান করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY N Host BD