December 9, 2023, 11:53 am
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলঅকার সন্ত্রাসী শামীম-শান্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে সোহেল গাজী পরিবার। সমাধানের কথা বলে সময় ক্ষেপন কওে দিন পার করছে শামীমের পরিবার। বিরোধ মিটানোরকথা বলে বেশ কয়েকজনকে দিয়ে উল্টো হামলার শিকার পরিবারের উপর চাপ সৃস্টি করার অভিযোগ উঠেছে শামীমের স্বজনদের। সন্ত্রাসী হামলার শিকার সোহেল ও রাজু দ্ইু সন্ত্রাসীর ভয়ে অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। একই দুই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সন্ত্রাসী সহোদরের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকায় আতঙ্ক এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে সোহেলের পরিবার। তবে যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন জুয়েলকে এলাকাবাসী ভদ্রমানুষ হিসেবে জানলেও তার এই দুই ভাতিজার জন্য জুয়েলের রাজনীতিক ক্যারিয়ারে ধস নেমে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় মহল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে পুরো এলাকাবাসীকে অতিষ্ট করে তুলেছে এই সন্ত্রাসী শামীম ও শান্ত। সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে অনেক প্রভাবশালী ব্যাক্তিও রেহাই পায়নি এই সন্ত্রাসীদের অত্যাচার থেকে। সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজী করা শামীম-শান্ত বাহিনীর নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে। কিছু হলেই দেশী-বিদেশী অস্ত্রেও মহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃস্টি করে থাকে এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ নেতাদেও সাথে ছবি ব্যবহার করে এলাকাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ানো শামীম-শান্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হলেও রহস্য জনক কারনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দিনে দিনে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এমন অভিযোগ ভূক্তভোগী মহলের।
স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার কারনে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা শামীম-শান্তকে ডেকে নিয়ে শাসিয়ে দেয়। কিন্তু এরপর থেমে নেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। শামীম-শান্তর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে তারা একাধিকবার থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিল। সর্বশেষ এই সন্ত্রাসী সহোদর গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় তক্কার মাঠ এলাকার এলাকার নাজমুল গামেন্টর্সের সামনে চাঁদার দাবীতে শামীম বাহিনী এলাকার সোলায়মান মিয়ার পুত্র রাজুকে পিটিয়ে হত্যার হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে রাজুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় শামীম বাহিনী রাজুর পকেটে থাকা নগদ টাকা ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। অপরদিকে এ ঘটনার এক ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৯টায় ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে ব্যবসায়ী সোহেল গাজী গতিরোধ করে পিটিয়ে আহত করে প্রায় অর্ধশাক্ষাধীক টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শামীম সহ শান্ত, বিল্লাল,মামুন,মহসিন,সালাম,বাবলুসহ প্রায় ১৫জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শামীম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবসায়ী মহলসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
Leave a Reply