September 26, 2023, 6:23 am

করোনার ভ্যাকসিন পেতে লাগবে ১৮ মাস

নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ চীনসহ বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে যে নতুন করোনা ভাইরাস তার নাম রাখা হয়েছে কভিড-১৯ (ঈঙঠওউ-১৯)। এই নামকরণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি আরও জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে আরও ১৮ মাস সময় লাগবে।

বুধবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এই ভাইরাসের নতুন নামকরণ হয়েছে কভিড-১৯ (ঈঙঠওউ-১৯)। করোনা থেকে সিও (ঈঙ), ভাইরাস থেকে ভিআই (ঠও) এবং ডিজিজ থেকে ডি (উ)। আর যেহেতু এটা ২০১৯ সালে শনাক্ত হয়েছে তাই শেষে ১৯ দিয়ে লেখা হচ্ছে।

তিনি জানান, নতুন এই ভাইরাস কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পেতে এখনও ১৮ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যেহেতু অনেকটা সময় লাগবে তাই এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই একমাত্র উপায় বলে জানান তিনি।

আইইসিডিআর এর এই অধ্যাপক বলেন, আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন যে তথ্য জানিয়েছে তাতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১শ’ ১৩ ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গতকালের ( ১১ ফেব্রুয়ারি) হিসাব পর্যন্ত সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ১০৩ জন। এর মধ্যে কেবল চীনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৭০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত দুই হাজার ৫৬০ জনের মধ্যে চীনে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৮৪ জন। এর বাইরে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত এই তালিকায় নতুন কোনও দেশ যুক্ত হয়নি, যেখানে নতুন করে কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি এবং মৃত্যুও হয়নি চীনের বাইরে।

চীনই কেবল অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশ

তিনি আরও জানান,এই মুহূর্তে চীনে এই রোগে আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগী রয়েছেন সাত হাজার ৩৩৩ জন। তাদের শারীরিক অবস্থা বেশ নাজুক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে রিস্ক বা ঝুঁকির যে মাত্রা দেওয়া হয় তাতে চীনই এখনও অতি মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ (ভেরি হাই) দেশ। বাকি যে দেশগুলোতে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে সেগুলোকে অতি ঝুঁকিপূর্ণের (হাই) তালিকায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এই অধ্যাপক বলেন, এতদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল, এ কাজে এখন জাতিসংঘও যুক্ত হয়েছে। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, তারা একটি টিম গঠন করেছে যেটা ইউএন ম্যানেজমেন্ট টিম হিসেবে কাজ করবে। যদিও সেখানে নেতৃত্বে থাকছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই। এই দলে আরও যোগ হয়েছে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব অ্যানিমেল ( অ্যানিমেল হেলথ নিয়ে কাজ করা সংগঠন) এবং ফুড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন ( এফএও) ।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY N Host BD