September 23, 2023, 4:50 pm
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ ঘাটে ফেরীতে যানবাহন ও মানুষ সাধারণ যাত্রীদের উপর বাড়তি টোলের বোঝা না চাপাতে উক্ত ঘাটটি টেন্ডার না দিতে সড়ক ও জনপথ নারায়ণগঞ্জ অধিপ্তরে মৌখিক প্রস্তাব দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে লিখিত ভাবে ডিও প্রদান করবেন। প্রস্তাবে তিনি আরো উল্লেখ করেন, যেহেতু সওজ একটি প্রতিষ্ঠান তাই প্রতিষ্ঠানটি যাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী মহলের সহযোগীতায় প্রতি বছর ১০ লাখ টাকা করে আগামী ৩ বছরে মোট ৩০ লাখ টাকা সওজ অধিদপ্তরে জমা দিবো। যা দিয়ে ফেরী গুলোর যন্ত্রাংশ ক্রয় সহ অন্যান্য কাজ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি। অপরদিকে আসন্ন রমজান মাস এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা চিন্তা করে নদী পারাপারে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ৫নংঘাাট-বন্দরখেয়া ঘাটের ফেরী সার্ভিসটি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে তা দিয়ে নবীগঞ্জ-হাজীগঞ্জ ফেরী ঘাট দিয়ে যাত্রীদের আরো উন্নত সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি উক্ত ঘাট দিয়ে যাতায়াতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বা তাৎক্ষনিক সেখানে পুলিশ, ফায়াস সার্ভিস ও মেডিকেল টিম রাখার ব্যবস্থা করা হবেও বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
রোববার ৭ এপ্রিল বিকেল ৫টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে নির্বাহী প্রৌকশলীর আলিউল হোসেন এর সাথে আলোচনাকালে সেলিম ওসমান এমন প্রস্তাব রাখেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এসডিও শামীম চৌধুরী, মোদাসেরুল হক দুলাল সহ অন্যান্যরা।
এমপি সেলিম ওসমান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বন্দরে এসে নদী পারাপারে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা শুনে এবং সাধারণ মানুষের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নবীগঞ্জ-হাজীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে ফেরী চালু করার ঘোষণা দেন। সেই সাথে শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে আরো একটি সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সেই সার্ভিস চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। উনার ঘোষণা অনুযায়ী বন্দর ও নারায়ণগঞ্জের মানুষকে সেবা প্রদানের জন্য ফেরী সার্ভিসটি চালু করা হয়েছে এবং এতে উভয় পাড়ের মানুষ অত্যন্ত খুশি। এমতাবস্থায় নবীগঞ্জ-হাজীগঞ্জ ফেরী যদি টেন্ডার দেওয়া হয় তাহলে টেন্ডারের টাকা তুলতে ইজারাদাররা সাধারণ যাত্রীদের উপর বাড়তি টোল চাপিয়ে তাদের পকেট কাটবে। জনবান্ধব শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে এটা হতে পারে না। তাই সাধারণ জনগনের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে উক্ত ঘাটটি কোন অবস্থাতেই টেন্ডার না দেওয়া যাবেনা। প্রয়োজনে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা নিয়ে প্রতি বছর ১০ লাখ করে আগামী ৩ বছরে মোট ৩০ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিয়মানুযায়ী প্রদান করবো।
Leave a Reply