নারায়ণগঞ্জ জেলার নবাগত পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন, মামলাটা হলো প্রথমিক পর্যায়। এরপর আমরা ওইটা তদন্ত করবো। তারপর যদি তার বিরুদ্ধের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে সে অভিযুক্ত হবে, সতত্যা না পাওয়া গেলে তাকে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হবে। তদন্ত না করে কাউকে অহেতুক গ্রেফতার করবে না পুলিশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের মামলায় জড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আপনারা বেলছেন সাংবাদিক ভাইয়েদের নামে মামলা হচ্ছে। আসলে যে কেউ বাদি হয়ে মামলা করতেই পারে। মামলা হওয়ার মানে তো এই না যে তার জেল-হাজত হয়ে যাচ্ছে বা সে অভিযুক্ত হয়ে যাচ্ছে।
মাদকের ব্যপারে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন,। আপনারা যদি কেথাও কোন প্রমান পান যে আমার পুলিশের কেউ মাদকের সাথে জড়িত, আমাকে প্রমানসহ দিতে হবে। আপনি প্রমান দিবেন, আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো। কিশোর গ্যাং নিয়ে বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ে যদি এখন কাজ করতে যাই, তাহলে উল্টো বিপদ আছে। কি বিপদ? সবাই এক হবে, আবার আমাদের থানা পুড়ানো শুরু হবে। আগে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ গুলো শুরু করি।
পুলিশের মনোবল ভেঙে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,আমাদের পুলিশের মনোবলটা এখন ভেঙ্গে গেছে। গত ৫ আগস্টের পর আমাদের বিভিন্ন থানা-অভিস ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পুলিশের মনোবলটাও ভেঙ্গে গেছে। আমরা পুলিশের মনোবল ফেরাতে প্রথমে কাজ করবো। পাশাপাশি জনগনের মধ্যেও পুলিশের প্রতি যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছিলো, সেই জায়গা থেকে উত্তরণের আমরা সর্বচ্চ চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে সবার আগে সহযোগীতা প্রয়োজন আপনাদের। আপনারা যদি অতিতের মতো সহযোগীতা না করেন, তাহলে আমরা সব পুলিশ মিলেও জনগনের আস্থা ফেরানো সম্ভব না। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন, আমার পুলিশকে সহযোগিতা করবেন।
এসময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমাসহ নারায়ণগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply