শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫১ অপরাহ্ন

ফতুল্লার তক্কার মাঠে জুয়েলের শেল্টারেই বেপরোয়া শামীম-শান্ত

নারায়ণগঞ্জের খবরঃ কথিত যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন জুয়েলের শেল্টারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকার সন্ত্রাসী সহোদর শামীম-শান্ত। একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে পুরো এলাকাবাসীকে অতিষ্ট করে তুলেছে এই সন্ত্রাসী দ্বয়। সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে ব্যাংকার,সরকারী চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী এমনকি সাংবাদিকরাও রেহাই পায়নি এই সন্ত্রাসীদের অত্যাচার থেকে। সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজী করা শামীম-শান্ত বাহিনীর নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ নেতাদেও সাথে ছবি ব্যবহার করে এলাকাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ানো শামীম-শান্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হলেও রহস্য জনক কারনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দিনে দিনে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এমন অভিযোগ ভূক্তভোগী মহলের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শামীম-শান্তর বাপ-চাচা জুয়েল, এজা, এমান, আয়নাল, আনোয়ারদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তারা বিগত ২ যুগেরও বেশী সময় ধরে ফতুল্লার তক্কার মাঠসহ আশপাশের এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করে আসছে। বাপ-চাচাদের পথ ধরেই অপরাধ জগতে পা দিয়েছে সন্ত্রাসী শামীম-শান্ত। সম্প্রতি শামীম ও শান্ত তক্কার মাঠ এলাকায় কথিত যুবলীগ নেতা জুয়েলের রাজনৈতিক অফিসকে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করছে। এখানেই বসেই মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয় অপর এশটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার কারনে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা শামীম-শান্তকে ডেকে নিয়ে শাসিয়ে দেয়। কিন্তু এরপর থেমে নেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। শামীম-শান্তর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে তারা একাধিকবার থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিল। সর্বশেষ এই সন্ত্রাসী সহোদর গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় তক্কার মাঠ এলাকার এলাকার নাজমুল গামেন্টর্সের সামনে চাঁদার দাবীতে শামীম বাহিনী এলাকার সোলায়মান মিয়ার পুত্র রাজুকে পিটিয়ে হত্যার হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে রাজুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় শামীম বাহিনী রাজুর পকেটে থাকা নগদ টাকা ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। অপরদিকে এ ঘটনার এক ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৯টায় ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে ব্যবসায়ী সোহেল গাজী গতিরোধ করে পিটিয়ে আহত করে প্রায় অর্ধশাক্ষাধীক টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শামীম সহ শান্ত, বিল্লাল,মামুন,মহসিন,সালাম,বাবলুসহ প্রায় ১৫জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শামীম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবসায়ী মহলসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এব্যাপারে সানোয়ার হোসেন জুয়েলের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD