বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ছেলে ধরা সন্দেহে রাসেল মিয়াকে (৪৫) গেণধোলাই দিয়ে ঘিরে রেখেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। ফতুল্লা লালখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। আটক রাসেলের দাবি, তিনি একজন ফুল ব্যবসায়ী।
শনিবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় ফতুল্লার শিহারচর লালখাঁ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক রাসেল মিয়া নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জের নূর হোসেনের ছেলে। রাজধানীর জুরাইন দারোগা বাড়ি রোডের একটি বাসায় থাকেন তিনি।
উল্লেখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুই স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন এক নারী। শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় ও বেলা পৌনে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া ও পাইনাদী শাপলা চত্বর এলাকায় এ দুই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সাখাওয়াত জানান, ৬-৭ বছরের এক মেয়ে শিশুর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবক। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে দুই যুবকের সন্দেহ হয়। তারা ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটি নিজের বলে দাবি করে ওই যুবক। ইতোমধ্যে শিশুটির বাবা ঘটানস্থলে গেলে শিশুটি তার বাবার কাছে চলে যায়।
এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন ওই যুবককে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুবকের পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে শাপলা চত্বর এলাকায় ২২ থেকে ২৫ বছরের এক নারী খেলনা ও খাবার দিয়ে এক শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহ হলে তারা শিশুটি কার জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়া শুরু করে।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শাহীদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply