রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ফতুল্লায় ছাত্রলীগ নেতা মুন্না হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী বরিশাইল্যা টিপুসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে মুন্নার ভাই শাওন। রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে শাওন উল্লেখ করেন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা রেল লাইন বটতলা এলাকায় একদল সন্ত্রাসীরা আমার বড় ভাই সৈয়দ মুন্না কে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথমে এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়ে পরে কুপিয়ে হত্যার চেস্টা চালায়। স্থানীয়দের কাছে জানতে পেরে আমি সহ পরিবারের অপর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ভাই মুন্নাকে উদ্বার করে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করাই।
এঘটনায় গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফতুল্লা মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে রফিকুল ইসলাম টিপু,পিতা-মৃত-আজগর আলী, সাইফুল, সাগর,কাইয়ুম সর্ব পিতা-মৃত-বজলুল হক মুন্সী, রায়হান ওরফে রেহান, রাজিব উভয় পিতা-শাহ আলম অঞ্জাত আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা(মামলা নং-১) দায়ের করি। মামলা দায়েরের পূর্বে ঘটনার রাতেই ফতুল্লা থানা গেইট থেকে পুলিশ মামলার ২ নং আসামীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারতো দুরের কথা আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ শুধু মাত্র একদিন মামলার এক নম্বর আসামীর বাড়ীতে অভিযান চালিয়েছিলো। মামলার এক নম্বর আসামীসহ অপর আসামীদের গ্রেফতার না করে তাদের বাচাঁতে নানা কৌশল অবলম্বন করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে দিয়ে শুরূ থেকেই মিথ্যে জবানবন্দীর মাধ্যমে মামলার প্রধান আসামী সহ অপর আসামীদের বাচাতে নানা কৌশলে রপ্ত রয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এমনকি রিমান্ডে এনে গ্রেফতারকৃত আসামীকে দিয়ে ১৬৪ ধারার মিথ্যে জবানবন্দীতে অপর আসামীদের নাম বাদ দিয়ে জবানবন্দী দেওয়ার চেস্টা করেছিলো । কিন্তু গ্রেফতাকৃত আসামী তা না বলায় ২য় বারের মতো গ্রেফতাকৃত আসামীকে রিমান্ড আনার আবেদন করা হয়েছে। অপর দিকে মামলার আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য যে,মামলার ১নং আসামী রাফকুল ইসলাম টিপু একজন চিহ্নিত ভূমীদস্যু। সে এক সময় সিনেমা হলের টিকেট চেকার ছিলো। জাল দলিল তৈরীর মাধ্যমে সে সরকারী-বে সরকারী,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি জবর-দখর করে ডাইং মালিক সহ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেতাছাড়। দীর্ঘ দুই বছরের ও বেশী সময় ধরে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষধের একটি রাস্তা জবর-দখল করে রেখেছে। এই রাস্তাটি বন্ধ করার প্রতিবাদ করলে মামলার ১ নং ৫ নং ও ৬নং আসামী সহ ৫/৬ সন্ত্রাসী স্থানীয় যুবকত দেলোয়ার হোসেন কুপিয়ে হত্যার চেস্টা চালায় ।এ ঘটনায় মামলা হলে ও কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি তখন পুলিশ।এছাড়া মামলার ১ নং আসামীর বিরূদ্বে বহু সংখ্যক সাধারন ডায়েরী,অভিযোগ এমন কি অর্থ আতœসাৎ, চেক ডিজঅনার ও ভূমী দস্যুসহ প্রায় দুই ডজনের ও বেশী মামলা রয়েছে। মামলার ৫ ও ৬ নং আসামী রায়হান ও রাজিব ১নং আসামীর আপন ভাগীনা। ৫ নং আসামীর বিরূদ্বে এনডিসির বাস ভবন থেকে গাড়ী চুরির মামলা এবং ৬ নং আসামীর বিরুদ্বে ঢাকা- নারায়নগঞ্জ সহ বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে।
Leave a Reply