মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
শহর প্রতিনিধিঃ উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানো ও নগ্ন হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন ৭জন প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রী গাজীর অনুমতি ছাড়া প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না। শুধু নগ্ন হস্তক্ষেপই নয়, মন্ত্রী নিজেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যানের একটি প্যানেল গঠন করে দিয়েছেন। এদের বাইরে আর কেউ প্রচারণা চালাতে পারছেন না। পুলিশ প্রশাসনও মন্ত্রী দেয়া তালিকায় বাস্তবায়নে মাঠে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া ৭ প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী প্রার্থীরা হলেন-রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাবিবুর কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হারেজ, অ্যাডভোকেট স্বপন ভূইয়া, মোতাহার হোসেন নাদিম, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাসরিন আক্তার চম্পা, হ্যাপি বেগম ও শায়লা তাহসিন। আগামী ৩১ মার্চ রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তাবিবুল কাদির তমাল বলেন, ওই ৩ জনের ব্যতিরেকে বাকী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার, গণসংযোগ ও মাইকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে। তাদেরকে প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি, ভয়-ভীতি ও নির্বাচন কাজে বাধা সহ কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও তারাবো পৌরসভা মহিলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক হ্যাপী বেগম বলেন, আমরা আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। কিন্তু আমাদেরকে নির্বাচনে কোন রকমের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী গোপন বৈঠকের মাধ্যমে ৩ জনের প্যানেলকে সমর্থন দিয়ে আসছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমরা কোন আস্থা রাখতে পারছি না। এসময় তারা মন্ত্রী গাজী হস্তক্ষেপমুক্ত সমান সুযোগের একটি নির্বাচন পরিবেশের দাবি করেন।
Leave a Reply