আবদুর রহিম, নারায়ণগঞ্জ
একদিকে নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থীরা সড়কের শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে, পরিচ্ছন্ন নগর করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে, অন্যদিকে বিএনপিাহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা দলবেঁধে পালাক্রমে পাহার বসিয়েছে সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি, উপাসনালয়ে।
কয়েকদিন ধরে এসব কার্যক্রম চলছে।
সকাল হলেই শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক টিম গঠন করে সড়কের শৃঙ্খলা ঠিক রাখগে কাজ শুরু করে। একটি গ্রুপ শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যস্ত থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ হামলার শিকার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পরিস্কারের কাজ শুরু করে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এই সুযোগে বিভিন্ন সুযোগসন্ধানী গ্রুপ নানা অপরাধ করছে। আজকে সন্ধ্যার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের নিজ নিজ ইউনিটে যোগ দিতে বলা হয়েছে। উনারা নিজেরদের ইউনিটে যোগ দিলেও একটি ভয়, আতঙ্ক কাজ করবে। তাদের এই আতঙ্ক কাটানোর দায়িত্ব আমাদের সাধারণ মানুষদের। আসুন, আমরা উনাদের হাসিমুখে বরণ করে নেই। কথা বলি, মোসাফাহ, কোলাকুলি করি। তাদেরকে সব সময়ই ক্ষমতাশীন দলের লোকেরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। উনাদের নিজেদের ভুলও রয়েছে। ভুলগুলো ভুলে গিয়ে উনাদেরকে সততা আর নিষ্ঠার সাথে কাজ করার সুযোগ করে দেই। আশাকরি, ভবিষ্যতে আর কেউ উনাদেরকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবে না।
অপরদিকে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে অরাজকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন জায়গায় মন্দিরে এবং সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা চালাচ্ছে। এসব প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সংগঠিত হয়ে সংখ্যালঘু পরিবার, মন্দিরের নিরাপত্তায় পাহারা বসিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর সারাদেশের ন্যায় ফতুল্লায় একটি কুচক্রী মহল নৈরাজ্য শুরু করেছে। আমরা ফতুল্লায় এসব হতে দিবো না। নৈরাজ্য ঠেকাতে এবং সংখ্যালঘু পরিবার এবং তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা পৃথক টিম করে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা বসিয়েছি। দেশ স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply