বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবর: নারায়নগঞ্জ শহরের মন্ডলপাড়ার মোসলেহ উদ্দিন খন্দকার বিদ্যুতের কোনো ছেলে ছিল না। অথচ এই বন্দরনগরীর অনেক তারকা ফুটবলারের হাতেখড়ি তার কাছে। চার মেয়ের মধ্যে তৃতীয় মাকসুদা খন্দকার সুখীর ফুটবলের প্রতি টান দেখে তাকেই ফুটবলার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোসলেহ উদ্দিন। বাড়ির পাশের যে মাঠটায় ছেলেদের ফুটবল শেখাতেন মোসলেহ উদ্দিন বিদ্যুৎ, সেখানেই সুখী কয়েকজন বান্ধবী নিয়ে অনুশীলন শুরু করেন।
মেয়ের ফুটবলের প্রতি টান আর প্রতিভা দেখে বাবার মনে দানা বাধে বড় স্বপ্ন। বড় ফুটবলার বানানোর লক্ষ্যে সুখীকে ঘষেমেজে তৈরি করতে থাকেন। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। বিদেশি দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম গোলদাতা হিসেবে নাম লিখিয়ে সুখী বাবার মুখ বড় করে এগিয়ে চলছিলেন।
কিন্তু মোসলেহ উদ্দিন খন্দকার বিদ্যুত মেয়েকে যতবড় ফুটবলার বানাতে চেয়েছিলেন ততবড় হওয়ার আগেই দৌড়টা থেমে যায় সুখীর। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সংসারজীবন শুরুর পর ফুটবল মাঠের সঙ্গে সম্পর্কের ছেদ পড়ে তার। এখন দুই মেয়ের মা এক সময়ের বাংলাদেশের নারী ফুটবলের পোস্টারগার্ল হিসেবে পরিচিত সুখী।
সুখী নিজের প্রতিভার ঘ্রাণ দিয়েছিলেন ২০০৮ সালের আগস্টে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের উড়িষ্যার বিরুদ্ধে দর্শণীয় এক গোল করে। ২০০৬ সালে বাফুফে একাদশ নামে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল উড়িষ্যা সফর করে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিল। ওই দলের সদস্য ছিলেন সুখী। একটি ম্যাচ গোলশূণ্য ড্র করলেও বাকিগুলো হেরে এসেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
দুই বছর পর দেশের মাটিতে কয়েকটি প্রদর্শণী ম্যাচ খেলেন উড়িষ্যা দলের বিরুদ্ধে। নারায়নগঞ্জে ০-২ ও চট্টগ্রামে ০-৪ গোলে হারার পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উড়িষ্যার বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাফুফে একাদশ। বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল সেদিনই দেখে প্রথম গোলের মুখ। ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে সুখীর করা গোলে ১-১ এ ড্র করে বাফুফে একাদশ।
Leave a Reply