বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দর উপজেলাধীণ সোনাকান্দা আদর্শ সপ্রাবি’র সহকারী শিক্ষক ও একজন শিক্ষক পরিবারের সন্তান শেখ কামাল তার নামে ফেসবুক আইডিতে শিক্ষকদের মর্যাদা নিয়ে আবেগ ঘন ষ্টেটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন,শিক্ষা হলো একটি জাতির মেরুদন্ড আর তার কান্ডারী হলো শিক্ষক। একজন শিক্ষক তিল তিল করে নীরবে নিভৃতে তার আদর্শ দ্বারা জাতীয় আকাঙ্খার উপযোগী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলেন।
সমাজ, দেশ তথা পৃথিবীকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে শিক্ষকের অবদান অপরিসীম। তাই সমাজে শিক্ষকের স্হান সবার উপরে। শিক্ষক হলেন জ্ঞানের বাহন।তাদের কাছ হতেই আগামী প্রজন্ম নৈতিকতা, মূল্যবোধ,দেশপ্রেমের শিক্ষা পায় এবং নিজেকে আদর্শ মানুষরুপে গড়ে তোলার মূল অনুপ্রেরণা পায়। এভাবেই একজন শিক্ষক তার সবটুকু সাধনালব্ধ জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেন শিক্ষার্থীদের মাঝে। একটি শিশুর প্রথম শিক্ষক তার বাবা মা হলেও শিক্ষার আসল ধাপ শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানেই জীবন গড়ার স্বপ্নের বীজ রোপণ করা হয়।এখানে পরম যতনে একেকটা শিশুকে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নেন একজন শিক্ষক।
কিন্তু মানুষ গড়ার কারিগর সেই শিক্ষককে ধরা হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। পৃথিবীর উন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় শিক্ষকদের ভিআইপি মর্যাদা ও সর্বোচ্চ বেতন দেয়া হয়। অথচ জাতির জনকের সোনার বাংলায় একজন শিক্ষককে বেঁচে থাকতে হয় অবহেলা ও করুনার পাত্র হয়ে। কেননা,একজন দেশ গড়ার কারিগরের বেতন গ্রেড ১৫। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেডে বেতনের দাবিতে সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন। স¤প্রতি প্রধান শিক্ষককে ১০ ম গ্রেড প্রদানের জন্য আদালত রায় দিয়েছেন। এটি অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। কেননা এটি প্রধান শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা। সেইসঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দাবী যৌক্তিক। সর্বশেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে বেতন বৈষম্যের নিরসনের কথা উল্লেখ থাকায় শিক্ষকরা নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন। মাননীয় গনশিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব পেয়েই সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড যৌক্তিক বলে মেনে নিয়েছেন। আশাকরি সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবী অচিরেই পূরণ হবে। অবশেষে,আমাদের প্রত্যাশা শিক্ষকের মর্যাদার জয় হোক।
Leave a Reply