রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ট্রাকচালক হত্যার ঘটনায় ৪জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার পটুয়াখালি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় (৬ জানুয়ারী) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব জানায় পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণঞ্জ ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী জানান, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাই চক্রের সদস্য। এরা বিভিন্ন সময় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে থাকে। ১জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ইউটার্ণের সামনে এক ট্রাক চালককে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা। পরবর্র্তীতে আমরা ট্রাক চালকের সহযোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে পেরে অপরাধীদের ধরতে কাজ শুরু করি। শুরুতে এই মামলাটির কোন ক্লু ছিলোনা। পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করি। এর প্রেক্ষিতে রবিবার মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপরাশেন) রুবেল হাওলাদার, উপ-পরিদর্শক সাইদুজ্জামান এবং সহকারি উপ-পরিদর্শক মোমেন আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স পটুয়াখালী থেকে এই হত্যাকান্ডের মূল হোতাসহ ২জন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ২জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বিকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো পটুয়াখালীর সদর থানাধীন নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান খলিফার ছেলে মূলহোতা মোঃ লাল মিয়া ওরফে লালু (২৫), নোয়াখালীর চাটখীল থানাধীন মমিনপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে মোঃ ইয়াছিন ওরফে পপো (১৮), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানাধীন পারাজার গ্রামের মোঃ মাসুক মিয়ার ছেলে মোঃ শাহীন (২৬) ও সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ এলাকার মোঃ আজিজুল হাকিম ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ নাজমুজ সাকিব ওরফে অনিক (১৫)। গ্রেফতারকৃতদের স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারী বুধবার ভোররাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিয়াচর এলাকা থেকে কার্টুন বোঝাই করে একটি ট্রাক আশুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এদিকে ঐ ফ্যক্টরীর ম্যানেজার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের ইউটার্ণ (ডাচ-বাংলা ব্যাংক শাখার সামনে) এলাকায় অপেক্ষা করছিল। ট্টাক চালক ফ্যাক্টরীর ম্যানেজারকে ট্রাকে উঠানোর জন্য উক্তস্থানে আসে। এ সময় ছিনতাইকারীরা ট্রাক চালক সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। পরে ছিনতাইকারীরে সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ট্রাকচালককে ছুরিকাঘাত করে ছিনাতাইকারীরা পালিয়ে যায়। ট্রাকের হেলপার রাজু চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে চালক সিরাজকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ট্টাক চালক সিরাজকে মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a Reply