বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদকবিরোধী এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিকা ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ এনায়েত নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানটি করা হয়। কমিউনিটি পুলিশের নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মাদক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা মূলক বক্তব্য রাখেন আগত অতিথিরা। নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কমিউনিটি পুলিশের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কাজী জাহিদ আলম এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক, আইজিপি পদক বার। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন দৈনিক সংবাদের রিপোর্টার আব্দুস সালাম জুবায়ের।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি পুলিশের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মোঃ শাহ আলম, ৮ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ শাহ আলম, ৮ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের উপদেষ্টা কাজী মোহাম্মদ মহসীন,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি হোসেন চিশতী শিপলু, সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক দিনকালের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বাবুল,দৈনিক আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার লুৎফর রহমান কাকন, দৈনিক আমাদের সময় সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি এমরান আলী সজীব,৮ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান সাউদ, নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কমিউনিটি পুলিশের সহ-সভাপতি নাজির আহমেদ,বিশিষ্ট সমাজসেবক সুলতান মাহমুদ সহ আরো অনেকে।
]অনুষ্ঠানে বক্তারা মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম সচেতনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরে অনুষ্ঠানের দর্শকসারিতে বসে থাকা বিভিন্ন অতিথিদের কয়েকজন মাদক ইভটিজিংয়ের বিষয়ে বিভিন্ন রকম সমস্যা তুলে ধরেন প্রধান অতিথির কাছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে কয়েকজন বক্তা মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও ইভটিজিং এর বিষয়ে বেশ কিছু গঠনমূলক আলোচনা করেন। পরে অনুষ্ঠানে আগত প্রধান অতিথি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ফারুক বলেন, মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এগুলো নির্মূল করতে হলে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যারা জঙ্গিবাদী তাদের চিনতে হলে কিছু বিশেষ বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।যেমন কোন বাড়িতে যদি কোন ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়ার জন্য আসে এবং বাড়ি ভাড়া নেয় তখন তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রাখা উচিত। যারা জঙ্গির সাথে সম্পৃক্ত তারা বেশি মানুষের সাথে মিশে না। তাদের চলাফেরা হয় সন্দেহজনক।প্রথমে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাড়ি ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের লোক সেই বাড়িতে যাতায়াত করে।গভীর রাত পর্যন্ত তারা জাগ্রত থাকে এবং সাধারন মানুষদের কাছ থেকে তার একরকম বিচ্ছিন্ন থাকে। এরকম যদি কোন কিছু আপনাদের নজরে আসে সাথে সাথে প্রশাসনকে জানাবেন অথবা স্থানীয় যারা প্রতিনিধি আছে তাদেরকে জানাবেন। ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি থেকে আমাদেরকে মুক্ত হতে হবে। যারাযারা ইভটিজার তাদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।প্রয়োজনে ইভটিজিংয়ের কোন বিষয়ে আমাদেরকে অবহিত করেন আমরা ইভটিজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সর্বোপরি মাদক।
মাদক বর্তমানে সমাজের একটি বড় অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক না কেন প্রশাসন কখনোই কাউকে ছাড় দেয়না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তিনি নিজেও মাদকের বিরুদ্ধে রয়েছেন। এবং দেশব্যাপী তা চলমান রয়েছে আপনারা দেখছেন। যেখানেস্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সেখানে কারোর সুযোগ নেই অপরাধ করার মাদক ব্যবসা করার সন্ত্রাসী করারও জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকার।আজকে বাংলাদেশ থেকে যেভাবে জঙ্গিদেরকে নির্মূল করা হয়েছে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও তা এতটা সহজে করা সম্ভব হয়নি।পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি নির্মূলের বিষয়ে জানতে চাই। কিভাবে বাংলাদেশ এত সহজে জঙ্গিদের নির্মূল করতে পেরেছে। সুতরাং কেউ কোন অপরাধ করে আর পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
Leave a Reply