বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগেঞ্জের খবর: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীগঞ্জে গড়ে উঠেছে মাদকের হাট,এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় গাঁজা,ইয়াবা,হেরোইন সহ সকল ধরনের মরণঘাতক নেশা। জানাযায় এই মাদকের হাট নিয়ন্ত্রণ করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এক কথিত সোর্স আয়নাল ওরফে সোর্স আয়নু। কিছু পুলিশ সদস্যর সাথে সক্ষতা গড়ে তুলে আলীগঞ্জ ও এর আশপাশের অপরাধ জগৎ এর একক নিয়ন্ত্রক বনে গেছে সোর্স আইনু। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রাসু ওরফে রাসেল এর মাধ্যমে আলীগঞ্জ তিন রাস্তার মোড় থেকে রেললাইন পর্যন্ত মাদক বিক্রি করাচ্ছে আইনু,সেলসম্যন হিসেবে রয়েছে আহাম্মদ,ড্রাইভার কালু সহ অনেকেই।
আলীগঞ্জের চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী খোকার মাদক স্পটের সকল ঝামেলা দেখভাল করে ছায়া দিয়ে থাকে এই সোর্স আইনু। বর্তমানে আলীগঞ্জের মাদক সাম্রাজ্যর একক আধিপত্য আইনুর,আলীগঞ্জের ছোট বড় সকল মাদক ব্যাবসায়ীরা সোর্স আইনুকে মাসোয়ারা দিয়েই মাদক ব্যাবসা করে, কেউ দিতে না চাইলে তাকেই পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয় সোর্স আইনু। যারা মাসোয়ারা দিয়ে চলে পুলিশ আসার আগেই সর্তক বার্তা দিয়ে দেয় আইনু,যার ফলে মাদক ব্যাবসায়ীরা তখন অনেকটাই সর্তক হয়ে আত্মগোপনে থাকে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানী করার অভিযোগ সোর্স আইনুর বিরুদ্ধে কম নয়, পাশাপাশি বিভিন্ন সময় অবৈধ তল্লাশী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্লাকমেইলিং সহ নানারকম অপরাধ করে চলেছে এই সোর্স আইনু। আলীগঞ্জ সহ এর আশপাশের এলাকায় পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে এই পুলিশের সোর্স। আলীগঞ্জ এলাকায় মূল মাদক ব্যাবসায়ীদের শেল্টার দেয়া থেকে শুরু করে নিজেও চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। এরই মাঝে আলীগঞ্জে সোর্স আয়নাল ওরফে আইনু অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যর সাথে থাকা সোর্সেরাই চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রি করছে এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
সোর্স নামধারী অপরাধীদের একের পর এক অপরাধ করলেও পুলিশের কারনে থামছে না সোর্সদের তৎপরতা। পুলিশের সোর্সদের বেশিরভাগই দাগী অপরাধী। সোর্স পরিচয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। যেমন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকায় মাদকের হাট, আর হাটের নিয়ন্ত্রন করছে মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের কথিত সোর্স আইনু। তাকে ম্যানেজ করেই মাদক ব্যবসায়ীরা করছে মাদক ব্যবসা।তার রয়েছে বিশাল বাহিনী। এই বাহিনী দিয়ে আইনু গোপনে চালাচ্ছে মাদক ব্যবসা। সূত্র জানায়, পুলিশের সোর্স পরিচয়ে আইনু আলীগঞ্জ এলাকায় মাদক বিক্রি করছে।এমনকি অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে তার নিয়ন্ত্রনে মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। এবং আইনুর কাছ থেকে মাদক নিয়ে বিক্রি করছে। এক সময় গাড়ীর মিস্ত্রি ছিলো আইনু এর পর মাদক ব্যাবসা শুরু করে। বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল সহ তৎকালীন ফতুল্লা মডেল থানা কর্মরত পুলিশ অফিসার কামরুল হাসানের হাতে আটক হোয় সোর্স আইনু ও রাসু(রাসেল),পরে বনে যান থানা পুলিশের সোর্স,বিভিন্ন ভাবে মানুষকে হয়রানী করতে থাকে,দুই স্ত্রীকে আলাদা-আলাদা বাড়িও নির্মান করে দেয় আইনু,বর্তমানে আলীগঞ্জের মাদক ব্যাবসা থেকে শুরু করে অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে বনে গেছে বিত্তশালী,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানায়, কোন মাদক ব্যবসায়ী যদি আইনুর কথা না মানে তাহলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।বর্তমানে পুরো আলীগঞ্জ সহ তার আশ পাশের এলাকায় লোক দিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে আইনু। স্থানীয়রা জানায়, ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা, ঘাটে সোর্সদের ‘ফিটিং’ বাণিজ্য নতুন কিছু নয়। রাতে চলাচলরত মানুষের পকেটে ইয়াবা কিংবা গাঁজার পুরিয়া দিয়ে ফিটিং দেয়ার ঘটনাও কম ঘটেনি। বেশির ভাগ সময়েই এরা মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে নিরপরাধ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। প্রায়শই সোর্সদের ভুয়া তথ্য পুলিশ সদস্যদেরও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়েও এরা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে তল্লাশি চালায়। আবার মামলার আসামি কিংবা বাদীর পক্ষ নিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর হুমকি দেয় সোর্সেরা। পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ ছাড়া এতো বড় সাহস সোর্সেরা কোথায় পায় এমনই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা এলাকায় অর্ধশত খাত থেকে সোর্সরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। মামলা পাল্টা-মামলা, চার্জশিট ইত্যাদির নামেও তদবির করে সোর্সরা বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ পুলিশের সোর্স রাখার কোনও বিধান আইনের কোথাও নেই। ফৌজদারি কার্যবিধি কিংবা পুলিশের পিআরবি’র (পুলিশ রেগুলেশন অব বাংলাদেশ) কোথাও পুলিশের সোর্স রাখা বা পালনের বিষয়টিও উল্লেখ করা নেই। আসামি ধরা ও অপরাধীদের স্পট খুঁজতে ব্যক্তিগতভাবে সোর্সের সহযোগিতা নিতে পারে। তবে থানায় সোর্সের আনাগোনাও রাখা যাবে না এমনটাই নির্দেশনা ছিল পুলিশ সদর দফতর থেকে। সোর্স আইনুকে আইনের আওয়তান এনে আলীগঞ্জ এলাকায় সকল ধরনের মাদক স্পট বন্ধের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply