বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৫) শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌকায় ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে মরদেহটি ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত তিন আসামি।

রোববার (৯ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে তিন আসামি জবানবন্দি দেন। আসামিরা হলেন-বন্দরের খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রাকিব (১৯) ও নৌকার মাঝি খলিল।

এর আগে গত ৪ জুলাই থেকে পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। ঘটনার একমাস পর ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।

মামলার মেয়ের বাবা জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে আব্দুল্লাহ যোগাযোগ করতেন। তিনি মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এতে বাধা দিলে মেয়েটিকে অপহরণের হুমকি দিতেন। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহের ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোনো খোঁজ নেই।

আসামিরা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে শিক্ষার্থীকে ডেকে আনার পর তাকে নৌকায় ঘুরতে নিয়ে যায় তারা। পরে তাকে পালাক্রমে তিনজন ধর্ষণ করেন। পরে নৌকার মাঝি ও দুইজন মিলে মেয়েটিকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে গুম করে ফেলে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পরেই আমরা দ্রুত দুই আসামিকে গ্রেফতার করি। পরে মাঝিকেও গ্রেফতার করি। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খোঁজ করেও ভিকটিম বা তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD