শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

কথা রাখেনি শামীম ওসমান, বিচার পায়নি সোহেলের পরিবার

নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ মোঃ সোহেল হত্যাকান্ডের ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার পায়নি সোহেলের পরিবার। হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ নিহত সোহেলের পরিবারের। এই হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা সোহেল হত্যা মামলা স্বাক্ষিদের নানা ভাবে ভয় ভিতি দেখানোসহ মামলার ঘটনায় স্বাক্ষি না দিতেও হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফতুল্লার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ১০ বছর পার হলেও এখনো বিচার পায়নি তার স্বজনরা। অপর দিকে সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার ও সোহেল হত্যাকান্ডের মূল হোতা সন্ত্রাসী হিটলার, রনি, ফুয়াদ, কানা সুমনসহ অন্যান্য হত্যাকারীরা নিজ নিজ বাহিনী নিয়ে এখনো বীরদর্পে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এমন অভিযোগ সোহেলের স্বজনদের। হত্যাকারীদের অনেকে জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ও মাঝারি পর্যায়ের নেতাদের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, সোহেল হত্যাকান্ডের পর বর্তমান এমপি শামীম ওসমান জানাযায় অংশ নিতে গিয়ে হত্যাকারীদের সাথে কোন আপোষ করবেনা এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে বক্তব্য রেখেছিলেন। কিন্তু হত্যকান্ডের ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার পায়নি সোহেলের স্বজনরা। স্বজনদের দাবি, দল ক্ষমতায় থেকেও যখন বিচার হচ্ছেনা তবে এ বিচার হবে কবে?

সূত্র মতে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কবরী বাহিনীর সন্ত্রাসী ব্যাংক ডাকাত হিটলার, বাবু, মমিন, রনি, সেন্টু, কানা সুমন, ফুয়াদ, ডাকাত খেলাফত, আবুল, ডাকা, আব্দুল, মির্জা পাভেল ডাকাত সহ প্রায় ৩০/৩৫জন শসস্ত্র সন্ত্রাসী সোহেলকে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে হত্যা করে। সোহেল কবরীর ক্যাডারদের এলাকায় মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল বলেই তাকে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়। এলাকা নিজ নিজ অবস্থান ও প্রভাব বিস্তার করতেই কবরীর সন্ত্রাসী বাহিনী তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করে বীর দর্পে এলাকা ত্যাগ করে চলে যায়।

এই হত্যাকান্ডের পর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান নিহত সোহেলের জানাযা নামাজে অংশ নিতে গিয়ে প্রকাশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, হত্যাকারীদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে সোহেল হ্যাকান্ডের ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সুষ্ঠু বিচার পায়নি তার স্বজনরা। এখনো পুত্রের হত্যাকারীদের বিচার চায় নিহত সোহেলের মা ও তার স্বজনরা। অপর দিকে সোহেল হত্যা কান্ডের পর এসব সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় যুবলীগ কর্মী নাহিদ। এলাকাবাসীর দাবি সোহেল হত্যার বিচার হলে যুবলীগ কর্মী নাহিদ নিমর্ম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতো না।

এদিকে, সোহেলের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লা ষ্টেশন বাজার, ব্যাংকলোণী, তক্কার মাঠ এলাকায় মিলাদের আয়োজন করেছে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমত আলী, জসিম উদ্দিন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৯ মার্চ প্রকাশ্যে ফতুল্লার দাপা আদর্শ স্কুলের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সোহেলকে হত্যা করে তৎকালীন সাংসদ কবরীর ক্যাডার বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD