নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ক্রমেই লাগামহীন হয়ে পরেছে সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুরের বৃহত্তর রসুলপুরের কিশোর অপরাধীরা। নিজেরা সংগঠিত হয়ে ‘কিশোর গ্যাং’ তৈরি করে একের পর এক সহিংস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। এ সকল কিশোর গ্যাংয়ের অধিকাংশ সদস্যরাই মাদকাসক্ত। সামন্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এরা হার হামেশাই জড়িয়ে পরছে নানা সন্ত্রাসী কর্মাকান্ডে। দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিয়মিতভাবে গোটা রসুলপুর জুড়ে মহড়া দিয়ে থাকে। কথিত বড় ভাইদের শেল্টারে এরা দিনকে দিন অতিমাত্রায় বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মূলত রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়েই রসুলপুরে একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান। সাধারণ পরিবারের বখে যাওয়া কিশোরদের মাদক ও আধিপত্যের প্রলোভন দেখিয়ে সহজেই এসব গ্যাংয়ের সদস্য করে নেওয়া হয়। উঠতি বয়সের এসব কিশোরদের দিয়ে বেশ সহজেই নানা অপরাধমূলক কাজ করা যায় বলে তথাকথিত বড় ভাইদের কাছে এদের কদরও বেশি। সূত্রমতে, রসুলপুরের কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রবিন খান। তার বাহিনীতে রয়েছে উঠতি বয়সের কমপক্ষে ২৫-৩০ জন কিশোর।
একাধিক সূত্রমতে, রবিনের হয়ে কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে রসুলপুরের চিহ্নিত বখাটে সিজান। এলাকাবাসী জানায়, মাদকাসক্ত সিজান রবিনের ডান হাত হিসেবে পরিচিত। রবিনের নির্দেশে কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে রসুলপুরে মাদক বিক্রি, হামলা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিংয়ের মূলে থাকে সে। কিশোর গ্যাং ও মাদকে জড়িত এই বাহিনীর সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বখাটে শাওন, রবিন, (পিতাঃ চায়ের দোকানদার রতন), শাওনের শালা হালিম, শাওনের সহযোগী সজল।
এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই মাদক ব্যবসা, মাদক গ্রহণ, হামলা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। রবিনের পিতা রতনকে গত সপ্তাহেই পুলিশ নানা অভিযোগে আটক করে। কিন্তু মাদকের বখরা খাওয়া স্থানীয় কিছু অসাধু লোক বিচারের আশ্বাস দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেয়।
সূত্র আরো জানায়, কিশোর গ্যাংয়ের এসব সদস্যেরা এতোটাই বেপরোয়া যে এলাকার সাধারণ জনগণ নীরবে তাদের অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে। আর এসব বখাটে কিশোরদের একশ্রেণির লোক নিজেদের স্বার্থে শেল্টার দিচ্ছেন। আর এভাবেই রসুলপুর বখাটে-মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে।
Leave a Reply