নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রমীক লীগ নেতা চাচা ঈমান আলীর শেল্টারে ফতুল্লার শিয়াচর তক্কারমাঠ এলাকায় মাদক ব্যবসা সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্ম দিয়ে দাবড়ীয়ে বেড়াচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী সানী ওরফে ভাতিজা সানী (২৫) । ভাতিজা সানী দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সিডিল, বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ মাদকের রমরমা পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ভাতিজা সানী গড়ে তুলেছে এক শ্রেনীর মাদকাসক্ত উঠতি বয়সীদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী।
এলাকার যারাই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সানীর বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকেই পুলিশ দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ী সানী নিরীহ লোকজনের বাড়িতে মাদকদ্রব্য রেখে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে কথিত শ্রমিক লীগ নেতা শেখ মো. ইমান আলী ভাতিজা সানীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে মাদক ব্যবসার শেল্টার দেয়ায় বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা সেহাচর বড়বাড়ী বদরা পুকুরপার, হাজীবাড়ীর মোড়, উকিল বাড়ী মাঠ, লালখাঁ, পুরান ক্যালিক্স স্কুলের পাশে, ইয়াদ আলী মসজিদসহ আশপাশের এলাকায় স্যালসম্যান দিয়ে মাদক বিক্রি করে আসছে।
এছাড়াও সন্ত্রাসী সানী সেহাচর হাজীবাড়ী মোড় এলাকায় মো. নূরুল আবছার শাহীন এর লিজকৃত সম্পত্তিতে আসিয়া সাইনবোর্ড স্থাপন করে। এ ঘটনায় নুরুল আবছার শাহিন গত ১১/৩/২০২০ ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন যাহান নং- ৬২২।
এর পর থেকে সানী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাধারন ডাইরী তুলে নিতে বিভিন্ন সময় নূরুল আবছার শাহীনকে হুমকি দিয়ে আসছে। সাধারন ডাইরী না তুলা হলে যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি করবে সানী । এর ২ মাসপর আবারও সানী, খোকন শিকদারসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন এসে নূরুল আবছার শাহীন এর লিজকৃত সম্পত্তিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে মাছ ধরতে বাধা প্রধান করলে সানী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ৫/৫/২০২০ তারিখে আরো একটি ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন যাহান নং- ১৩৫।
এ ব্যাপারে নূরুল আবছার শাহীন বলেন, ইমান আলী শ্রমিকলীগ নেতা পলাশের রাজনীতি করে সেই সাইনবোর্ড লাগিয়ে এলাকায় অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার ভাতিজা সানিসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী আমার জায়গা দখল করতে আসে আমি তারে বাধা দিলে সানী বলে যা বুঝার আমার ইমান চাচার সাথে বুঝেন। পরবর্তিতে আমি ইমান আলীর বাসায় গেলে ইমান আলী বলে আমরা এলাকার পোলা আমরা রাজনিতি করি আমরা এলাকায় ক্ষমতা না দেখালে কি বাহিরের মানুষ ক্ষমতা দেখাবে। পরবর্তিতে তার কাছে কোন সঠিক উত্তর না পেয়ে চলে আসি। এর কিছু দিন পর ইমান আলী আমার কেয়াটেকার লিটনকে মারধর করে আমি বিষয় টি জানতে পেরে ঢাকা থেকে এসে ইমান আলীকে বলি কেনো লিটনকে মারধর করলো। একই কথা বলে যে আমারা এলাকার ছেলে রাজনীতি করি, পোলাপান চালাতে টাকা পয়সা লাগে এই জায়গার খামারের মাছ আমরা ধরবো। শাহিন বলেন দেশের অবস্থা খারাপ করোনার কারনে আমি কোর্টে মামলা করতে পারছিনা থানায় ২টি (জিডি)করেছি কোর্ট চালু হলে ইমান আলী তার ভাতিজা সানী সহ অজ্ঞাত নামা যাদের নাম জানিনা তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করবো।
এ ব্যাপারে শ্রমিক লীগের কথিত নেতা শেখ মো. ইমান আলী বলেন, আমার ভাতিজা সানী মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না। হয়তো কোনো বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে শত্রুতাবসত এই ছবি তুলেছে। আমার এবং আমার ভাতিজার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য। নূরুল আবছার শাহীন এর জায়গা দখল করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তারে চিনিনা কেনইবা জায়গা দখল করতে যাবো। পরে তার ভাতিজা সানীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হয়ে এই কথা বলার পর তিনি বলেন হ্যা আমার কাছে নূরুল আবছার শাহীন আসছিলো, কিন্তু এটা সরকারি লিজকৃত জায়গা আমি কেনো দখল করতে যাবো। কেয়ারটেকার লিটন কে মারধরের বিষয় জানতে চাইলে বলেন। আমি লিটনকে কোন মারধর করি নাই
Leave a Reply