শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

ফ্রিডম মুসা ও আইয়ুবের বিরুদ্ধ ফুসছে ফতুল্লাবসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবাদ প্রকাশের পর ফতুল্লার লালপুর -পৌষপুকুরপাড় এলাকার লেবাসধারী চিন্থিত চাঁদাবাজ মোসলেম উদ্দিন মুসা ওরফে ফ্রিডম মুসা ও তার ভাই চিন্থিত ভূমীদস্যু,জাল দলীল তৈরীর প্রতারক চক্রের হোতা আইয়ুব ওরফে রেডিও চোর আইয়ুবের বিরুদ্বে বেরিয়ে আসতে শুরু করছে নানা অপকর্মে কাহিনী। দীর্ঘ সময় স্থানীয়বাসী তাদের সৃস্ট অপকর্মের শিকার হয়ে পুনরায় নির্যাতনের ভয়ে তাদের বিরুদ্বে মুখ খুলতে সাহস না করলে ও পঞ্চায়েতের জমি আত্মসাতের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ পেলে তাদের সৃস্ট অপকর্মে বিরুদ্বে মুখ খুলতে শুরু করেছে স্থানীয়বাসী।
জানাযায়,ফতুল্লা থানার লালপুর পৌষপুকুরপাড় এলাকার মৃত জয়নাল ওরফ কাঠুরিয়া জয়নালের দুই পুত্র আইয়ুব ওরফে রেডিও চোর আইয়ুব ও মোসলেম উদ্দিন  মুসা ওরফে ফ্রিডম মুসা দীর্ঘ দিন ধরেই পৌষারপুকুর এলাকায়  জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমীদস্যুতা,জবর-দখল,বিচার- শালিশীর নামে অর্থ আত্মসাৎ,গ্যাস সংযোগ,বিদ্যুৎ সংযোগ জমি কেনাবেচা এবং বাড়ী ঘর নির্মানে চাঁদাবাজী সহ নানা অনিয়মের জন্ম দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কেটি টাকা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে,আইয়ুব ওরফে রেডিও চোর আইয়ুব ৯০ দশকের শুরুর দিকে দেশ ছেড়ে ভারত পাড়ি দেওয়া  বহু সংখ্যক সংখ্যালঘু পরিবারের সম্পত্তি ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আতাত করে জাল দলিল তৈরীর মাধ্যমে অনত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।আইয়ুব এক সময় চুরি,ছিনতাই করে বেড়ালেও ভূমীদস্যুতার মাধ্যমে বনে গেছে কোটিপতি।স্থানীয়রা জানায়,৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে আইয়ুব ফতুল্লা বাজারের একটি মুড়ির দোকানে রেডিও চুরি করে পালিয়ে যাবার সময় ধরা পরে।সে সময় তাকে বাজারে অবস্থিত একটি বিদ্যুতের খুটির সাথে বেধে বেদম প্রহার করে।এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় সর্ব   মহলে  রেডিও চোর আইয়ুব নামে পরিচিতি লাভ করে।
অপরদিকে মোসলেম উদ্দিন মুসা ওরফে  ফ্রিডম মুসার সম্পর্কে জানা যায়,বর্তমানে সে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে ও এক সময় ফ্রিডম পার্টির সক্রিয় ক্যাডার ছিলো।ফ্রিডম মুসার বিরুদ্বে মসজিদের নামে টাকা উত্তলোন করে তা আত্মসাৎ করা এমনকি মসজিদের জন্য তৈরী জানালার গ্রীল নিজ বাসায় লাগানো সহ নানা অসুধাপয় অবলম্বন করে অর্থ আত্নসাতের হাজারো অভিযোগ রয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায় সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রিডম মুসা পঞ্চায়েতের জমি নিজ নামে লিখে নেবার পাশাপশি ফ্রিডম মুসা পঞ্চায়েতের অফিসে থাকা ২ টি টেবিল,২০ টি চেয়ার,টেলিভিশন, ও ফ্যান সহ পঞ্চায়েত কার্যালয়ে থাকা বিভিন্ন আাসবাবপত্র রাতের আধারে নিজ বাসায় নিয়ে যায় এবং পঞ্চায়েত কার্যালয়টি তালাবদ্ব করে দেয়।
লালপুর পৌষপুকুরপাড় পঞ্চায়েত কমিটির সহ- সাধারণ সম্পাদক রুস্তম  খন্দকার সাংবাদিকদের জানান,পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের জন্য যে রুমটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিলো তা পঞ্চায়েতের জন্য ক্রয় করার জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাড়ী বাড়ী থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়।যা সাধারন সম্পাদক মুসার নিকট গচ্ছিত ছিলো।মুসা সেই টাকা দিয়ে পঞ্চায়েতের নামে জমি না কিনে উক্ত জমিটি নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন  করিয়ে নিয়েছে।প্রথম দিকে বিষয়টি গোপন থাকলে ও কার্যলয়টি বন্ধ রাখার কারন জানতে চেয়ে তা খোলার তাগিদ দিয়ে তালার চাবি চাইতে গেলে নানা টালাবাহানা করতে থাকে মুসা।এক পর্যায়ে মুসা নিজেই জানায় যে পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের জায়গাটির সামনের আশি পয়েন্ট সে নিজ নামে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছে।এবং কার্যালয়ের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র সে নিজ বাসায় এনে রেখে দিয়েছে।এ নিয়ে সভাপতির সাথে বেশ কয়েকবার কথাকাটাকাটির পাশাপাশি উত্তোলনকৃত টাকার হিসেব নিয়ে ও  কথা হয়।কিন্ত সভাপতি মৃত্যু বরন করলে বিষয়গুলো নিয়ে আর আলোচনা হয়ে উঠেনা।সাম্প্রতিক সময়ে কমিটির অনেকেই বিষটি নিয়ে মুসার সাথে কথা বলতে চাইলে মুসা আবারো টালবাহানা শুরু করে।ফলে তারা কমিটির উপদেস্টা সহ স্থানীয় রাজনেতিক নেতাদেরকেও বিষয়টি অবগত করেছন।আর এতে করে মুসা নিজের অবস্থা বেগতিক  বুঝতে পেরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
পঞ্চায়েত কমিটর সদস্য ও মসজিদ কমিটির অপর সহ- সাধারন সম্পাদক  মোল্লা জাফর জানায়,ফ্রিডম মুসা এলাকার একজন চিন্থিত চাঁদাবাজ।মসজিদ কমিটির  নাম ব্যবহার করে সে গত দেড় দশকে প্রায় দুই শতাধিক বাড়ীর গ্যাস লাইন সংযোগের সময় প্রতি লাইন সংযোগে দশ হাজার টাাকা করে চাঁদা উত্তোলন করেছে।এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদ ও প্রকাশিত হয়।তিনি আরো বলেন, মসজিদের জন্য তৈরী জানালার নতুন গ্রিল নিজ বাসায় লাগিয়ে বাসার পুরাতন গ্রিল মসজিদে লাগানো সহ মসজিদের ফান্ডের টাকাও সে আত্মসাৎ করেছে।যা স্থানীয়   জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কারোরই অজানা নয়।
কবরস্থান কমিটির সভাপত হাজী গিয়াসউদ্দিন,ঔষধ ব্যবসায়ী মানিক ওরফে ডাক্তার মানিক, একই এলালার হাজী কাশেম,ফোন ফ্যাক্স ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন,সামছুল,  স্থানীয় যুবক ইব্রাহিম হোসেন ইবু সহ আরো একাধিকজনের সাথে কথা হলে  তারা জানান মসজিদের টাকা ও পঞ্চায়েতের জমি আত্মসাৎ  সহ  ড্রেনের কথা  বলে মুসা প্রতিটি বাসা বাড়ী থেকে চাদাঁ  উত্তোলন করেছে ফ্রিডম মুসা।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মতে,বর্তমানে ফ্রিডম মুসা
ফতুল্লা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির ১ নং যুগ্ম- সাধারন সম্পাদক।বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও এক সময় সে ফ্রিডম পার্টির সক্রিয় ক্যাডার ছিলো।তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় তিনটি মামলা ( নং (২৮)তাং-১০/১০/ ২০১৮ইং,নং(৯৪) তাং২৬/৯/২০১৮ ইং,নং (২০) তাং ৭/২/২০১৮ ইং)রয়েছে। এছাড়া ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে থাকা আওয়ামীলীগও অংঙ্গ সংগঠনের অফিস  ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করার এজাহারনামীয় আসামী সহ  ১৯৯৩ সালে নিহত যুবদল নেতা সমশের আলী খোকা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ছিল ফ্রিডম মুসা।জেলা ফ্রিডম পার্টির দ্বায়িত্বে থাকা ফ্রিডম কামালের সার্বক্ষণিক বডিগার্ড ও সক্রিয় ক্যাডার হিসেবে তৎকালীন সময়ে দাবড়িয়ে বেড়িয়েছিলো জেলা শহর ও শহরতলীর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা।
নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD