শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজঃ দীর্ঘদিন ধরে রিপন ওরফে ‘মুরগী রিপন’ নামে এক চাঁদাবাজ সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা দোকান থেকে চাঁদা নিতেন বলে অভিযোগ ছিল। রোববার (২০ ডিসেম্বর) ওই মহাসড়কের পাশে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আট শতাধিক ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্তৃপক্ষ।
রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরে আলমের নেতৃতে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফুটপাত, মার্কেটের সামনে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ৮ শতাধিক দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। দখলকারীরা এসব দোকান গড়ে তুলে পরিবহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছিলেন। তাই অবৈধভাবে গড়ে তোলা এসব দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ দোকান উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলেও জানান সওজের এ কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রিপন ওরফে ‘মুরগী রিপন’ নামের এক চাঁদাবাজ তার নিয়োজিত লোকদের (জামাল, শাকিল, নাসির ও রুহুল আমিন) দিয়ে পুলিশের নামে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিলেন। তাদের পাশাপাশি এ ফুটপাতে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধির সহযোগী ও স্থানীয় চাঁদাবাজরা এসব দোকানপাট থেকে দৈনিক ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে থাকেন। দোকান প্রতি ১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নিতো সংঘবদ্ধ এ চাঁদাবাজ চক্র।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ‘মুরগী রিপন ও তার সহযোগীরা প্রতিদিন এ টাকা উত্তোলন করতেন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক বিভাগের নাম করে। মুরগী রিপনকে চাঁদা না দিলে তিনি ও তারা বাহিনীর সদস্যরা আমাদেরকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি উচ্ছেদের হুমকিসহ পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিতেন। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা তাকে ও তার নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতিদিন চাঁদা দিয়ে আসছিলাম।’
Leave a Reply