শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বহাল থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কুতুবপুরের কর্মীবিহীন নেতা হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন। আর এই পদে আসতে তৎপরতা চালাচ্ছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদার। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন এক সময় পলাশের রাজনীতি করলেও পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে শামীম ওসমান বলয়ে চলে আসেন। পলাশের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে রাজনীতির মাঠে আলোচিত হওয়া জসিম স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে কর্মী বিহীন নেতা হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মধ্যে একাধিক বলয় তৈরীরও কারিগড় তিনি এমন অভিযোগ স্থানীয় নেতকর্মীদের। আর এ কারণে জসিমের পাশে কোন কর্মী থাকতে চায় না। যে কারণে দলের হয়ে কোন সভা-সমাবেশে অংশ নিতে হলে অন্যের দ্বারস্থ হোন এই নেতা।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, জসিম উদ্দিন এক সময় পলাশের আস্থাভাজন হয়ে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও হঠাৎ করে পলাশের কাছ থেকে সরে যান এই নেতা। সাংসদ শামীম ওসমানের বলয়ে ভীরে যায় তিনি। দীর্ঘদিন ইউনিয়নের সভাপতি হয়েও কর্মী সৃষ্টি করতে পারেনি বলেও অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। সম্প্রতি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে কুতুবপুরের নেতারা তৎপর হয়ে উঠেছে। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বহাল থাকতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তবে এবার জসিম উদ্দিনের প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে মাঠে রয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদার। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সব সময়ই সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন। দলের দুঃসময়ে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে হাল ধরে ছিলেন। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তিনি শাহীবাজার মোড়ে সাংসদ শামীম ওসমানের মোবাইল সমাবেশ করে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজটিও করেছে ঝুকি নিয়ে। যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে জসিম উদ্দিনের করার কথা ছিল। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং সক্রিয় নেতাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
Leave a Reply