বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খানের বিরুদ্ধে আদালতে এক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন আদালতে মামলার ৬ষ্ঠ সাক্ষী হাবিব উদ্দিন তার সাক্ষ্য প্রদান করেন। এসময় সাক্ষিকে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে চলে সাক্ষিকে জেরা ও সাক্ষ্য গ্রহণ।
এ বিষয়ে আসামী পক্ষে আইনজীবী রবিউল হোসেন বলেন, আজ সাব্বির হত্যা মামলায় সাক্ষগ্রহণের দিন ধার্য্য ছিলো। আজ হাবিব উদ্দিন নামে একজন সাক্ষি আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহন প্রদান করেছে। এ মামলার মোট সাক্ষি হলো ৫২ জন। এর মধ্যে তিনি ৬নং সাক্ষি। তিনি (সাক্ষি) প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেন। তিনি আসামী জাকির খানের নাম বলেন নি। আততায়ীরা মারছে (সাব্বির আলমকে হত্যা করেছে), তাদের তিনি চেনেন নাই। জাকির খান যে আসামী, সেটা তিনি নিজেই মানেন না। সাক্ষি নিজেই বলেছেন, আমি জাকির খানকে আসামী হিসেবে মানিনা। জাকির খানের বিরুদ্ধে তিনি তেমন কোন অভিযোগ বলতে পারেন নি এবং উৎস্থাপিত হয়নি। এখন বুঝেন মামলাটির কি অবস্থা?
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসামী পক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, আজ আমরা আসামীর জামিন আবেদন করেনি। এ মামলার পরবর্তি তারিখ ২৪ জুন। ভবিষ্যতে যে ফলাফল হবে, সেটা আদালতের উপর নির্ভর করবে। আরও সাক্ষি আছে, আমরা তাদেরও জেরা করবো। তখন আরও ফলাফল জানতে পারবো।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।
সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রধান আসামী গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেয়ায় মামলার বাদি তৈমূর আলম খন্দকার সিআইডির দেয়া চার্জশীটের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন।
নারাজি পিটিশনে তৈমুর আলম বলেন, গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকান্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি গোজাঁমিলের চার্জশীট দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
Leave a Reply