মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ জেলা বিএনপি ভেঙ্গে দেয়ার কোটি টাকার মিশন ব্যর্থ হয়েছে সোনারগাঁয়ের মান্নানের। ভেঙ্গে গেছে জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন। গোপন এই মিশনে নেমে ভিন্ন কৌশলে জেলা বিএনপি ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন বিএনপির এই নেতা। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এরআগেও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হতে দৌড়ঝাপ করেছিলো মান্নান। ওই সময় মান্নানকে সাধারন সম্পাদক করে জেলা বিএনপির তালিকা তৈরী হলেও শেষ মূর্হুতে তাকে সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দেয়া হয়। তার স্থানে চলে আসেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। স্বশিক্ষিত মান্নান জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচনে এমপি হওয়ারও স্বপ্ন দেখেছিলেন। সোনারগাঁয়ের সিনিয়র নেতাদের হটিয়ে বিএনপির মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছিলেন এই নেতা। কিন্তু সোনারগাঁয়ের মানুষ তাকে গ্রহন করতে পারেনি। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, মান্নান বিএনপির সক্রিয় নেতাদের বাদ দিয়ে কিছু হাইব্রীড এবং সুবিধাভোগী নেতাদের সাথে নিয়ে সোনারগাঁয়ে রাজনীতি করে থাকেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সোনারগাঁয়ের মান্নান। কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন এই নেতা। স্বপ্ন দেখেছিলেন জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তী কমিটির সভাপতি হওয়ার। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিএনপির বিচক্ষনতার কারনে মান্নানের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। স্বশিক্ষিত মান্নানকে সোনারগাঁয়ের মানুষ বদলি মান্নান হিসেবে চিনলেও একটি কোম্পানীর সুনজরের কারণে তিনি কোটিপতি বনে যায়। এরপর থেকে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা বনে যায় মান্নান। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।
এরপর স্বপ্ন দেখেন এমপি হওয়ার। স্থানীয় মহলে গুঞ্জন রয়েছে, টাকার জোড়ে সোনারগাঁয়ের শীর্ষ নেতাদের পেছনে ফেলে জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের মনোনয়ন বাগিয়ে নেন। ওই নির্বাচনে সোনারগাঁয়ের মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যান। এব্যাপারে বিএনপি নেতা মান্নানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply