শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
শহর সংবাদদাতা: হাইব্রীডদের সঙ্গে নিয়ে ফটোসেশনের রাজনীতি পরিহার করার আহবান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দলের ত্যাগী নেতারা এখন মানবেতর দিন যাপন করছে। আর দলের কিছু নেতাদের হাত ধরে হাইব্রীডরা প্রবেশ করে সুবিধা ভোগ করছে।
মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদে প্রশিক্ষণকৃত ২০ নারীকে সেলাই মেশিন ও ১ হাজার ৪’শ টাকা করে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ দেশের মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করেছে। ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে যিনি বাঙালিদের স্বার্থের কথা বলেছিলো।
তিনি বলেন, পাকিস্তানরা যখন তাকে গ্রেফতার করেছিলো, তখন তারা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলো তুমি যদি পাকিস্তানের স্বর্ত মেনে নাও তাহলে তোমাকে ছেড়ে দেয়া হবে আর যদি মেনে না নাও, তাহলে তোমার সামনে যে কবর খোরা হয়েছে সেখানে তোমাকে দাফন করা হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই স্বর্ত মেনে নেননি। তিনি বলেছিলেন, বাঙালি জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারবো। আমাকে যদি মরতে হয় তাহলে আমি মরতে রাজি, তবে আমার লাশটি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিও। আমি মরে গিয়েও বাঙালিদের ছাড়া থাকতে পারবো না।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এ জাতির মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার স্বর্ত পালতে জাতিকে নিয়ে যখন কাজ শুরু করলেন, তখন চর্তুদিকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রের কারনে তার কাজ বাধাগ্রস্থ হয়। তখন তিনি বড় আক্ষেপ করে বলেছিলেন, পাকিস্তানিরা এ দেশে সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে শুধু চোরগুলোকে বাংলাদেশে রেখে গেছে। সেই চোরের কারনেই বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যেতে পারছেনা। তিনি বার বার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ফেরাউনের বংশধরটা চেলে গিয়েছে, তারা যদি চোরদের নিয়ে যেতে পারতেন, তাহলে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারতো।
তিনি বলেন, যুগযুগ ধরে যখন বাঙালি জাতি একটা চরম শিখরে পৌছতে চায়, ঠিক তখনি ওই চোরের গোষ্টি বাঙালির স্বপ্নে আঘাত হানতে চায়। আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে কাজ করে যাচ্ছেন পাশাপাশি কঠোর হস্তে এসব ধমন করার চেষ্টা করছেন।
বক্তব্য শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ২০টি সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এর আগে শোক দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া এবং জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাড. মাহমুদা মালা, সদস্য অ্যাড. নূরজাহান, প্রধান নির্বাহী মো: মনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মো: ওয়ালী উল্যাহ্, উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু আশরাফুল হাসান, কাঞ্চন প্রমূখ। এছাড়া অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান।
Leave a Reply