শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
আবদুর রহিম: দলীয় বিরোধে থমকে যাওয়া জেলা বিএনপি পুণঃগঠন প্রক্রিয়া সহসাই শুরু হচ্ছে না। দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙা ভাব দেখা গেলেও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরোধের কারণে বিএনপির রাজনীতি এখন বিরক্তির কারণ বলে মনে হচ্ছে কর্মীদের কাছে। জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নিয়েও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলের তৃনমূলে। দাবী উঠেছে বিতর্কীতদের বাদ দিয়ে দলের নেতৃত্ব তরুণ নেতাদের হাতে তুলে দেয়ার। তাঁদের মতে, তরুণ নেতাদের হাতে নেতৃত্ব দেয়া হলে জেলা বিএনপির রাজনীতি নতুন করে চাঙা হয়ে উঠবে।
সূত্রমতে,দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের কারণে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী করতে। কিন্তু, হিতে বিপরীত হয়েছে। আহবায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে জেলা বিএনপির বিরোধ আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আহবায়ক কমিটি গঠনের পর থানা,উপজেলা,পৌর কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পৃথক টিম গঠন করা হলে এই বিরোধ চরমে পৌঁছে যায়। জেলা বিএনপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠতে থাকে। বিশেষ করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যসহ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। আর নিয়েই বিএনপিতে অস্থিরতা বাড়তে থাকে। এসব বিতর্কীত নেতাদের বিরুদ্ধে নালিশ যায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির হাই কমান্ডের কাছে। শেষ পর্যন্ত জেলা বিএনপির পুন:গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয় বিএনপির নীতিনিধারনী ফোরাম। আবারো থমকে দাঁড়ায় জেলা বিএনপি পুন:গঠন কাজ।
বিএনপির একাধিক সূত্রের দাবি, জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমুর আলম খন্দকারের সাথে বনিবনা হচ্ছে না সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের। দুই জনের সমন্বয়হীনতার ফলে জেলা বিএনপিতে নেমে এসে অন্ধকার। এই অন্ধকার কবে নাগাদ কাটবে এ নিয়েও রয়েছে নানা সংশয়। তবে বিএনপির তৃনমূলের দাবি, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে গতিশিল করতে হলে তরুন নেতাদের হাতে নেতৃত্বে তুলে দিতে হবে। এছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তাঁদের মতে, তরুন নেতারা হাল ধরলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নতুন করে প্রাণ ফিরে পাবে। এ ব্যাপারে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমান্ডের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
Leave a Reply